লক্ষ্মীপুরে জোড়া খুন: ফারুক নামে আরো একজন গ্রেপ্তার
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব ইমাম হত্যার ঘটনায় ফারুক হোসেন নামে আরো একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাতে বশিকপুরের নন্দীগ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে এই মামলায় ফারুক হোসেনসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে চার আসামী চারদিনের রিমান্ডে রয়েছে।
রিমান্ডে থাকা আসামী সবুজ, ইসমাইল হোসেন, আজিজুল হক বাবলু ও রুবেল হোসেন এই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদে নতুন নতুন তথ্য দিচ্ছে। এসব তথ্য যাচাই-বাচাই করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি মামলার প্রধান আসামী আবুল কাশেম জিহাদীসহ অন্য আসামীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কয়েকভাগে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
তবে এখনো মামলার প্রধান আসামী আবুল কাশেম জিহাদী গ্রেপ্তার না হওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন মামলার বাদী নিহত আবদুল্লাহ আল নোমানের বড় ভাই বশিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান। এদিকে জোড়াখুনের ঘটনায় থমথমে অবস্থায় বিরাজ করছে। খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে প্রতিদিন জেলার কোথাও না কোথাও নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মোটর সাইকেলযোগে পোদ্দার বাজার থেকে নাগের হাটে যাচ্ছিলেন যুবলীগ নেতা নোমান ও তার সহযোগী অপর ছাত্রলীগ নেতা রাকিব ইমাম। পশ্চিম বাজার এলাকার ব্রিজের পাশে পৌঁছালে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা তাদের গতিরোধ করে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে।
এতে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আবদুল্লাহ আল নোমান ঘটনাস্থলে মারা যায়। অপর গুরুতর আহত রাকিব ইমামকে উদ্ধার করে প্রথমে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঢাকা নেয়ার পথে রাত সাড়ে ১১টার দিকে সেও মারা যায়। পরের দিন নিহত নোমানের বড় ভাই বশিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় আবুল কাশেম জিহাদীকে প্রধান করে ৩৩জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এই মামলায় এখন পর্যন্ত রুবেল হোসেন সুবজ, আজিজুল হক বাবলু ও ইছমাইল হোসেনসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে চারদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
বিপি>আর এল