নোমান সাবিত: নিউ ইয়র্ক থেকে ফ্লোরিডায় যাওয়া জেটব্লু ফ্লাইটে দু’টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিউ ইয়র্কের জেটব্লু এয়ারলাইনের কর্মকর্তারা সোমবার রাতে ফ্লোরিডায় পৌঁছানোর পর ল্যান্ডিং গিয়ার কম্পার্টমেন্টে দুই ব্যক্তির মৃতদেহ খুঁজে পান। ফোর্ট লডারডেল-হলিউড আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জেটব্লুর গ্রাউন্ড ক্রু রুটিন পরবর্তী ফ্লাইট রক্ষণাবেক্ষণ পরিদর্শনের সময় রাত ১১টার পরে এয়ারবাস A320-232 এর ল্যান্ডিং গিয়ার কম্পার্টমেন্টে দুই ব্যক্তির মৃতদেহ খুঁজে পান। এ তথ্য লং আইল্যান্ড সিটির কর্পোরেট সদর দপ্তরের মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন।
জেটব্লু মুখপাত্র মঙ্গলবার ( ৭ জানুয়ারি) বলেন, ফেডারেল তদন্তকারীরা এখন তদন্ত করছেন কীভাবে এই দুই ব্যক্তি জন এফ কেনেডি (জেএফকে) বিমানবন্দরে ফ্লাইট ১৮০১-এ অননুমোদিতভাবে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। দুঃখজনকভাবে উভয় ব্যক্তি মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। এই মুহূর্তে তাদের পরিচয় এবং তারা কীভাবে বিমানে প্রবেশ করেছিল তা তদন্তাধীন রয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানান।
পোর্ট অথরিটির একজন মুখপাত্র এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ( এফএএ) এবং ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড (এনটিএসবি)-এর ওপর দায়িত্ব ন্যস্ত করা হয়েছে।
ব্রাওয়ার্ড কাউন্টি শেরিফের দপ্তরের ডেপুটিরা রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিমানটির ল্যান্ডিং গিয়ার এলাকায় দুই ব্যক্তির মৃতদেহ পাওয়ার বিষয়ে একটি কলের জবাব দেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্যারামেডিকরা উভয় ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করেন। ব্রাওয়ার্ড কাউন্টি মেডিকেল পরীক্ষকের অফিস উভয় ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ নির্ধারণে ময়নাতদন্ত করবে।
জেটব্লুর বিমানটি জানুয়ারি ৫ তারিখে জেএফকে থেকে কিংস্টন, জামাইকায় পৌঁছানোর পর সেখানেই রাত কাটায়। এই কারণে ধারণা করা হচ্ছে মৃত ব্যক্তিরা জামাইকার নাগরিক হতে পারে।
জামাইকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কমিনা স্মিথ এই বিষয়ে মঙ্গলবার সামাজিক মাধ্যমে বলেন, ‘ফোর্ট লডারডেলে একটি বিমানের চাকার কাছে দুটি মৃতদেহ পাওয়া যাওয়ার বিষয়টি আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি। যদিও এই ব্যক্তিদের জাতীয়তা নিয়ে জল্পনা চলছে, আমাদের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এটি এখনও তদন্তাধীন, এবং তাদের পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা হয়নি।
ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিনের মতে, বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ার কম্পার্টমেন্টে লুকিয়ে যাত্রা করা অত্যন্ত বিপজ্জনক। এতে চাকার ভাঁজে চূর্ণ হওয়া, অবতরণের সময় পড়ে যাওয়া, অথবা বিমানের ভেতরে গুরুতর ঠাণ্ডা এবং অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হতে পারে।
জেটব্লু মুখপাত্র বলেন, ‘এটি একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা, এবং কীভাবে এটি ঘটেছে তা বোঝার জন্য আমরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বিপি।এসএম