বাংলাপ্রেস ডেস্ক: বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় ডিমের সরবরাহ বৃদ্ধি ও বাজারদর স্থিতিশীল রাখার জন্য পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে এক কোটি করে সর্বমোট পাঁচ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পাঁচটি শর্ত দেওয়া হয়েছে।
রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. হায়দার আলী গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
অনুমতিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- ইউনিয়ন ভেনচার লিমিটেড, জে এফ জে প্যারাডাইস কানেকশন, লায়েক এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স লাকি এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স পিংকি ট্রেডার্স।
জানা গেছে, ডিমের বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে আপাতত পাঁচ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পাঁচ প্রতিষ্ঠানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে এক কোটি করে ডিম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমদানি করা ডিম খুচরা পর্যায়ে সরকার নির্ধারিত দাম প্রতি পিস ১২ টাকায় বিক্রি হবে।
দেশে প্রতিদিন চার কোটি ডিমের প্রয়োজন হয়। এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর চার প্রতিষ্ঠানকে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে ২১ সেপ্টেম্বর আরও ৬ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এদিকে ডিম আমদানি করার ক্ষেত্রে পাঁচটি শর্ত নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। সেগুলো হলো— অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লুমুক্ত দেশ হতে ডিম আমদানি করতে হবে; আমদানি করা ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য রপ্তানিকারক দেশের সরকারের মাধ্যমে নির্ধারিত কিংবা ক্ষমতাপ্রাপ্ত উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত অ্যাভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লুর ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ামুক্ত সনদ দাখিল করতে হবে; সরকার নির্ধারিত শুল্ক বা কর পরিশোধ করতে হবে; নিষিদ্ধ পণ্য আমদানি করা যাবে না ও সরকারের অন্যান্য বিধিবিধান মেনে চলতে হবে।
বিপি/কেজে