Home অন্যান্যশিক্ষা বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় রাবির ২৩৭ শিক্ষক-শিক্ষার্থী

বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় রাবির ২৩৭ শিক্ষক-শিক্ষার্থী

by বাংলাপ্রেস ডেস্ক
A+A-
Reset

বাংলাপ্রেস ডেস্ক: ওয়ার্ল্ড সায়েন্টিস্ট র‍্যাংকিং-২০২৪’ তালিকা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক গবেষক ও বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাঙ্কিং সংস্থা অ্যালপার ডগার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স। বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় এ বছর স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের ২০৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ হাজার ৩৩ জন গবেষক। এর মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিভিন্ন বিভাগের ২৩৭ জন গবেষকের নাম এসেছে।

র‍্যাঙ্কিং তালিকার ‘এইচ’ ইনডেক্সে দেশীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পর্যায়ে গত বছরের তুলনায় এ বছর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থানের উন্নতি হয়েছে। এ বছর বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৭তম; যা গত বছর ছিল ১০তম, আঞ্চলিক (এশিয়া) পর্যায়ে ১ হাজার ১৯৪তম; যা গত বছর ছিল ১ হাজার ৩৪৮তম এবং বিশ্বে ৩ হাজার ৯১২তম; যা গত বছর ছিল ৪ হাজার ২৯৮তম। গত বছরের ন্যায় এ বছরের তালিকায়ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছেন ফলিত গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আলি আকবার। তিনি প্রকৃতি বিজ্ঞান বিষয়ে গবেষণা করে রাবির সকল গবেষকদের মধ্যে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কে স্থান পেয়েছেন।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টির মধ্যে সেরা ১০ জনের অন্যান্য গবেষকরা হলেন- অধ্যাপক এম. ইয়ামিন হোসাইন (ফিশারিজ বিভাগ), অধ্যাপক সালেহ হাসান নকিব (পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ), অধ্যাপক আকমা ইসলাম (পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ), অধ্যাপক এ.এইচ.এম. মাহবুবুর রহমান (উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ), অধ্যাপক ড. এম. আশিক মোসাদ্দিক (ফার্মেসি বিভাগ), অধ্যাপক আবু ড. মো. খালেদ হোসাইন (বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগ), সহযোগী অধ্যাপক ইমতিয়াজ হাসান (বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগ), সহযোগী অধ্যাপক ড. আহমাদ হুমায়ুন কবীর (উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ), অধ্যাপক মো. ইসমাইল তারেক (পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগ)।এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্স প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড সায়েন্টিস্ট র‍্যাংকিং-২০২৪’ তালিকায় বিশ্বের ২১৯টি দেশের ২২ হাজার ৮১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ১৪ লাখ ৪৩ হাজার ১৩১ জন বিজ্ঞানী ও গবেষক স্থান পেয়েছেন।

এবছর রাবির উন্নতির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আলি আকবার বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক ভালো মানের রিসার্চার আছে এবং তারা রিসার্চ করেনও। কিন্তু সংঘটিত উপায়ে রিসার্চ করেন না। ভালো লাগার দিক থেকে যে যার মতো রিসার্চ করছেন। কিন্তু র‌্যাঙ্কিং বাড়ানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে রিসার্চে কোনো তাগিদ দেওয়া হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, কিন্তু গবেষণার মতো মৌলিক বিষয়গুলোর দিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যদি আর্টিকেল প্রকাশ না করেন তাহলে তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা উচিত; যেটা মালয়েশিয়ায় হয়ে থাকে। সেখানে কোনো শিক্ষক যদি বছরে দুইটি আর্টিকেল প্রকাশ না করেন তাহলে তাদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হয়। যারা গবেষণা করছেন তাদেরকে উৎসাহিত করাও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একটি দায়িত্ব। আশা করছি, আগামীতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আরও্ ভালো করবে।

উল্লেখ্য, সারাবিশ্বে গবেষণাপত্রের কার্যকারিতা মূল্যায়নের মাধ্যমে ‘এইচ’ এবং ‘আই-১০’ সূচকে তারা এ তালিকা তৈরি করে এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্স। এ পদ্ধতির উদ্ভাবক দুই গবেষকের (অধ্যাপক মুরত আলপার এবং চিহান ডজার) দাবি, বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী-গবেষক-অধ্যাপকদের কাজ এবং তাদের শেষ ৬ বছরের কাজের তথ্য বিশ্লেষণের পর তা এইচ-ইনডেক্স, আইটেন-ইনডেক্স স্কোর এবং সাইটেশনের ওপর ভিত্তি করে এ তালিকা প্রকাশিত হয়। এতে নিজ নিজ গবেষণার বিষয় অনুযায়ী গবেষকদের বিশ্ববিদ্যালয়, নিজ দেশ, মহাদেশীয় অঞ্চল ও বিশ্বে নিজেদের অবস্থান জানা যায়।

তাছাড়া সূচকটিতে গবেষকদের বিশ্লেষণ ও বিষয়গুলো নির্দিষ্ট ক্যাটাগরিতে গণ্য করা হয়। কৃষি ও বনায়ন, কলা, নকশা ও স্থাপত্য, ব্যবসায় ও ব্যবস্থাপনা, অর্থনীতি, শিক্ষা, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি, ইতিহাস দর্শন ও ধর্মতত্ত্ব, আইন, চিকিৎসা, প্রকৃতিবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞানসহ মোট ১২টি ক্যাটাগরিতে প্রতি বছর এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।

বিপি/টিআই

 

You may also like

Leave a Comment

কানেকটিকাট, যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত বৃহত্তম বাংলা অনলাইন সংবাদপত্র

ফোন: +১-৮৬০-৯৭০-৭৫৭৫   ইমেইল: [email protected]
স্বত্ব © ২০১৫-২০২৩ বাংলা প্রেস | সম্পাদক ও প্রকাশক: ছাবেদ সাথী