বাংলাপ্রেস ডেস্ক: ফেনীতে বিভিন্ন বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জাল ভোট ও নানা অনিয়মের দায়ে ১৪ জনকে আটক করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
ফেনীর সোনাগাজী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে লাঙ্গল প্রতীকে সিল মারা ব্যালট জব্দ করা হয়েছে। এসময় লাঙ্গল প্রতীকের পোলিং এজেন্টকে আটক করেছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া সোনাগাজীর বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে লাঙ্গলের পক্ষে জাল ভোট দেয়ার অভিযোগে ১২ জনকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে, ফেনী-৩ আসনের স্বতন্ত্রপ্রার্থী বিদ্রোহী আওয়ামী লীগ নেতা (ঈগল প্রতীক) রহিম উল্যাহকে প্রতিপক্ষ শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেছে বলে জানা যায়। সোনাগাজীর নবাবপুরে এডভোকেট উচ্চ বিদ্যালয় প্রিসাইডিং অফিসারের সাথে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে এ ঘটনা ঘটে।
অন্যদিকে, সকালে ফুলগাজী উত্তর ধর্মপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ( ১০৮ নম্বর) কেন্দ্রে জালভোট দেয়ার অভিযোগে ২জন আটক করে পুলিশ। দুপুরের দিকে ফেনীর সোনাগাজীর হাজী সেকান্দর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোটারদের বাধা ও জাল ভোট দেয়ায় ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা।
ঈগল প্রতীকের প্রার্থী হাজী রহিম উল্লাহ ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেছেন, ভোট কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে তার সাথে লাঙ্গল প্রতীকের প্রাথী মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীর সমর্থকদের সাথে হাতাহাতি হয়।
দুপুরের দিকে ফেনীর সোনাগাজীতে উত্তর চর মজলিশপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট দেয়ার অপরাধে ১১ জন নারী ও ওক পুরুষকে আটক করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
ফেনীর ৩টি আসনে ভোটার রয়েছে ১২ লাখ ৪৬ হাজার ১২৬ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ লাখ ৩৮ হাজার ২৮৫ জন, নারী ভোটার ৬ লাখ ২ হাজার ৪৭১ জন।
ভোটারের জন্য ৩৯৯টি ভোট কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৩৯টি সাধারণ আর ৬০টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ অর্থাৎ ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করা হয়েছে।
নির্বাচনী মাঠে রয়েছে ২৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, আনসার ভিডিপি ৪ হাজার ৮৬৮ জন, র্যাব ৮০ জন, বিজিবি ১০ প্লাটুন, সেনাবাহিনীর ৩৫০ জন, পুলিশের ১১৫০ সদস্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে নিয়োজিত ছিলেন। ভোটগ্রহণে কর্মকর্তা নিয়োজিত ছিলেন ৮ হাজার ১৬৮জন।
বিপি/টিআই