বাংলাপ্রেস ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য পোস্ট করার অভিযোগে ২৩ বছর বয়সী এক কলেজ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়া কলকাতার হাসপাতালে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া ট্রেইনি চিকিৎসকের পরিচয় প্রকাশ করার অভিযোগও উঠেছে ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে।
রোববার ( ১৮ আগস্ট) লেক টাউনের বাড়ি থেকে কীর্তি শর্মা নামে ওই শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। পুলিশ জানায়, কীর্তি আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ৩১ বছর বয়সী চিকিৎসকের গণধর্ষণ ও হত্যা সম্পর্কিত তিনটি পোস্ট শেয়ার করেন সামাজিকমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে।
পুলিশের মতে, তার পোস্টগুলো ধর্ষণের শিকার হওয়া চিকিৎসকের ছবি এবং পরিচয় প্রকাশ করেছে, যা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দুটি পোস্টে আপত্তিকর মন্তব্য ও হুমকি দেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
কলকাতার একটি থানায় এ ঘটনায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। যার ফলে ভারতীয় ভারত ন্যায় সংহিতার প্রাসঙ্গিক ধারাগুলির অধীনে একটি এফআইআর করা হয়। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের একটি দল রোববার বিকেলে শর্মাকে গ্রেপ্তার করে।
আর জি কর মেডিকেলের ওই চিকিৎসকের বর্বর ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় সারাদেশ জুড়ে ব্যাপক ক্ষোভ এবং প্রতিবাদ এবং ডাক্তারদের কর্মবিরতির পটভূমিতে গ্রেপ্তার করা হলো কীর্তিকে।
এর আগে, গুজব ছড়ানো এবং নারী ডাক্তারের পরিচয় প্রকাশের অভিযোগে কলকাতা পুলিশ সাবেক বিজেপি সাংসদ লকেট চ্যাটার্জি এবং দুই শীর্ষ চিকিৎসককে সমন জারি করেছিল।
এই তিনজন ছাড়াও, এই ঘটনা সম্পর্কে ভুল তথ্য ছড়ানোর জন্য আরও ৫৭ জনকে সমন জারি করেছে বলে একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল গত সপ্তাহে বলেছিলেন মামলাটি নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে যা তাদের তদন্তকে প্রভাবিত করছে এবং আইনশৃঙ্খলার জন্য হুমকি তৈরি করছে।
বিপি/টিআই