বাংলাপ্রেস ডেস্ক: ইসরায়েলে ইরানের নজিরবিহীন ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে ইরানি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাজ্য। সোমবার (১৪ অক্টোবর) ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্সের।
ব্রিটিশ নিষেধাজ্ঞায় ইরানের সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী এবং ইরানের ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিশানা করা হয়েছে।
ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি এক বিবৃতিতে বলেছেন, বার বার সতর্কতার পরও ইরান এবং এর মিত্রদের বিপজ্জনক কার্যকলাপ মধ্যপ্রাচ্যে আরও উত্তেজনা বৃদ্ধি করছে। ইসরায়েলের ওপর ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর আমরা ইরানকে দায়ী করছি এবং এই কর্মকাণ্ডে সহায়তাকারীদের উন্মোচন করছি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, সোমবার ল্যামি লুক্সেমবার্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক কাউন্সিলে ইউরোপীয় অংশীদারদের সঙ্গে ইরানের কার্যকলাপ নিয়ে আলোচনা করেছেন।
যাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে তাদের মধ্যে ইরানের সেনাবাহিনীর প্রধান আবদুর রহিম মোউসাভি, ফারজানেগান প্রপালশন সিস্টেমস ডিজাইন ব্যুরো এবং ইরানি মহাকাশ সংস্থা রয়েছে।
এর আগে গত শুক্রবার ইসরায়েলে তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শাস্তি হিসেবে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের তেল বেচাকেনা এবং পরিবহনের সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠান ও যানবাহনকে এ নিষেধাজ্ঞার টার্গেট করা হয়।
গত ১ অক্টোবর ইসরায়েলে ১৮০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান। এখন ইরানের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে তেল আবিব। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, যুক্তরাষ্ট্র গোপনে ইসরায়েলকে তার জবাব যথাযথভাবে সমন্বিত করতে অনুরোধ করছে, যাতে মধ্যপ্রাচ্যে একটি বৃহত্তর যুদ্ধ শুরু না হয়। বাইডেন প্রকাশ্যে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলার বিরোধিতা করেছেন এবং ইরানের জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
বিপি/টিআই