বাংলাপ্রেস ডেস্ক: সমুদ্রসীমা অতিক্রম করে ভুলে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ার অপরাধে তিন দফায় পশ্চিমবঙ্গের ৮৪ জন মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে বাংলাদেশের নৌ বাহিনী। ওই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ অবস্থায় জেলের পরিবারগুলো উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন, কবে তারা ছাড়া পাবেন। তবে পশ্চিমবঙ্গ থেকে যাওয়া মৎস্যজীবীদের সঙ্গে পরিচয়পত্র রয়েছে জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আশাকরি ওই দেশের সহযোগিতা পাব। কয়েকদিন আগে বাংলাদেশের ট্রলার আমাদের এখানে ঢুকে পড়েছিল। তাদের আমরা ছেড়ে দিয়েছি। তাদের কাছে নথিপত্র ছিল। আমাদের যারা গিয়েছেন তাদেরও আধার কার্ড রয়েছে।
মমতা আরও বলেন, বাংলাদেশ আমাদের বন্ধু দেশ। সাংস্কৃতিক আদানপ্রদান রয়েছে। একই ভাষায় কথা বলি। দু’দেশের সম্পর্ক আমি আশা করি আবার ভাল হয়ে যাবে। সীমান্তবর্তী দেশগুলো যদি একে অপরের সঙ্গে সদ্ভাব বজায় রেখে চলে তাহলে সবারই ভাল।
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলায় শিল্প সম্মেলনে যোগ দিতে আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী। কথার পিঠে একথা জানিয়ে মমতা এই বার্তাও স্পষ্ট করতে চেয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে কিন্তু বিভিন্ন দেশের সম্পর্ক বেশ মধুর। জানা যাচ্ছে, পদ্মায় এখন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ। বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড নিয়মিত প্যাট্রোলিং করছে। জাহাজের রাডারে সন্দেহজনক ফিশিং ট্রলারের উপস্থিতি পেয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশের নৌবাহিনী তিন দফায় পশ্চিমবঙ্গের চারটি ট্রলার আটক করে। গ্রেপ্তার করা হয় ৮৪ জন মৎস্যজীবীকে।
বিপি/টিআই