2
এম আর আলী টুটুল সৈয়দপুর( নীলফামারী )প্রতিনিধ: নীলফামারীর সৈয়দপুরে জনসাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তরের জমিতে লাগানো মূল্যবান মেহগনি গাছ কর্তনের অভিযোগ উঠেছে সাবেক পৌর কাউন্সিলর আবিদ হোসেন লাড্ডানের বিরুদ্ধে ।
সূত্রে জানা যায় , শহরের নিয়ামতপুর মৌজায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ৪ একর জমিতে প্রায় সহস্রাধিক মেহগনি গাছ রয়েছে।
সেখানে পানি টেংকি নির্মাণ করা হয় নাগরিকদের সুপেয় পানি সরবরাহের জন্য। তার দেখাশোনার দায়িত্ব দেওয়া হয় সৈয়দপুর পৌরসভাকে। ১৯৯৫ সালের বিএস জরিপ চলাকালে মাঠ জরিপকারীদের সাথে যোগ সাজেশ করে পৌরসভার নামে রেকর্ড ভুক্ত করে পৌর কর্তৃপক্ষ । জমিটি পৌরসভার জমি বলে প্রচার চালানো হয় । তৎকালীন পৌর মেয়র আমজাদ ভজে ওই জমিতে পৌর সুপার মার্কেট নির্মাণের প্রক্রিয়া চালায় । বাগানের ৬8টি কোটি টাকা মূল্যের মেহগনি গাছ মাত্র ১৬ লাখ টাকায় নিলামের মাধ্যমে ২০২০ এর মে মাসে বিক্রি করে দেন ।
ক্রেতা মাহবুবার রহমান পাঁচ দিনের সময়ে গাছ অপসরণে ব্যর্থ হয় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাঁধায়। জমি সংক্রান্ত বিষয়ে পৌরসভা ও জনস্বাস্থ্যের মামলা চলমান রয়েছে আদালতে । এক বছর পূর্বেও গাছ কাটার চেষ্টা করে আবারো ব্যর্থ হন ক্রেতা । আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের সুযোগ নিয়ে সাবেক পৌর কমিশনার বিএনপি নেতা আবিদ হোসেন লাড্ডানের সহযোগিতায় আবারও গাছ কাটতে থাকেন। এলাকাবাসীর বাঁধার মুখেও গাছ কর্তন অব্যাহত রাখে । প্রভাব খাটিয়ে ২০-২৫ টি গাছ মেহগনি গাছ কেটে নিয়ে যায় , যার বর্তমান বাজার মূল্য কোটি টাকা ।
এ ব্যাপারে কথা হয় নীলফামারী জনস্বাস্থ্য নির্বাহী প্রকৌশলী মুরাদ হোসেনের সাথে তিনি জানান , বিষয়টি আমি দেখছি , তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।
সৈয়দপুর বন বিভাগের কর্মকর্তা সাহিরুল জানান ঐ স্থানের গাছ কাটার কোন অনুমোদন কাউকে দেওয়া হয়নি ।
সৈয়দপুর পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর ই আলম সিদ্দিকী মুঠোফোনে জানান , বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখছি ।
সাবেক কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা আবিদ হোসেন লাড্ডান জানান , ২০২০ সালে টেন্ডারের মাধ্যমে গাছ কিনেছি। ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ বাধা দেওয়ায় গাছ কাটা সম্ভব হয়নি । দেশের পট পরিবর্তনের কারণে এখন কাটছি আমার সাথে সাবেক কাউন্সিলর জোবায়দুল মিন্টু রয়েছে ।
এলাকাবাসী সফিয়ার জানান গত বৃহস্পতিবার হঠাৎ করে সাবেক কাউন্সিলর লাড্ডান ও মিন্টু গাছ কাটার লোক এনে মেশিন দিয়ে গাছ কাটতে থাকেন । তখন আমরা বাধা দেই এবং গাছ কাটার বৈধ কাগজ দেখতে চাই । তারা মুখে বলে আগের টেন্ডার এর গাছ কিন্তু কোন কাগজ দেখাতে পারিনি । তাই আমরা গাছ কাটা বন্ধ করে দিয়েছি । তারপরও দলীয় প্রভাব খাটিয়ে প্রায় কোটি টাকা মূল্যের ২০ ২৫ টি গাছ কেটে নিয়ে যায় ।
এলাকাবাসী আরো জানায় এখানকার গাছ ও জমি অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে । যেকোনো সময়ে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তা প্রভাবশালীদের আয়ত্তে চলে যাবে । তাই জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে অনুরোধ করেন জমি ও গাছ সুরক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার ।
বিপি/টিআই