টুটুল সৈয়দপুর (নীলফামারী )প্রতিনিধি: সৈয়দপুর উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের সচিব রহিদুলের একক আধিপত্য ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে ইউনিয়নবাসী । ১৪ই মে দুপুরে উপজেলার চত্বরে ঘন্টা ব্যাপী এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করা হয় ।
জানা যায় খাতামধুপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোঃ রহিদুল ইসলাম বিগত চার মাস পূর্বে ইউনিয়ন পরিষদে যোগদানের পর থেকে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন অনিয়ম ও একক আধিপত্য বিস্তারে মরিয়া হয়ে উঠেছে । গত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত মাসুদ রানা পাইলট বাবু চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয় । পট পরিবর্তনে চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান ১ নং প্যানেল চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান ।দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কে উপেক্ষা করে তার (সচিব) নিজ ইচ্ছায় সব কাজ করে চলেছেন । বিভিন্ন প্রকল্পে ভাগ বসানো , ঈদুল ফিতরের ভিজিডি চাল বিতরণের স্লিপ বিক্রি ৪০ দিনের মাটিকাটা পুরাতন শ্রমিকদের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে টাকার বিনিময়ে নতুনদের তালিকা করার কৌশলে লিপ্ত রয়েছেন । ১ নং ওয়ার্ডের ও শ্রী বেনু চন্দ্র রায় , ৪ নং ওয়ার্ডের হরিপ্রসাদ চন্দ্র , 5 নং ওয়ার্ডের মুবার হোসেন ও রেনু বালা , ৬ নং ওয়ার্ডের ধীরেনচন্দ্র রায় অভিযোগ করে বলেন , আমরা যারা দুই বছর থেকে ৪০ দিনের মাটিকাটা কর্মসূচির আওতায় কাজ করছি । আমরা অত্যন্ত গরিব ও দরিদ্র অসহায় মানুষ। মানুষের বাড়ির কামলা কিষান এর কাজ করি । আমরা নিয়মিত এই মাটি কাটার কাজ করে আসছি । এই সচিব যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন অনিয়মের ধারাবাহিকতায় মাটি কাটার তালিকা থেকে পুরাতনদের বাদ দিয়ে নতুনভাবে তালিকা করবে বলে প্রচার চালান। মাইকিং শুনে আমরা সচিবের কাছে জানতে চাইলে তিনি আমাদের বলেন এটা উপরের নির্দেশ তাই নতুন করে তালিকা তৈরি করা হবে । আমাদেরকেও নতুন করে জাতীয় পরিচয় পত্র জমা দিতে বলেন । আমরা এর প্রতিবাদ জানাই এবং আগে আমাদের জাতীয় পরিচয় পত্র জমা দিয়েছি ,একই কাজের জন্য দুইবার কাগজ জমা দিতে হবে কেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি আমাদের কোন উত্তর দেননি ।
আমরা জানতে পারি সচিব রহিদুল ,তিন নম্বর ওয়ার্ডের আতিক মেম্বার ও মহিলা মেম্বার মেরিনার স্বামী ফজলার রহমান সিন্ডিকেট করে নতুনদের কাছ থেকে পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকার বিনিময়ে ৪০ দিনের মাটি কাটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য এই কৌশল অবলম্বন করেছেন । তাই আমরা নয়টি ওয়ার্ডের মানুষ একত্রিত হয়ে ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দিতে উপজেলায় এসেছি এবং মানববন্ধন করছি । ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান জানান আমি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেলেও সচিবসহ দুই একজন মেম্বার তাদের ইচ্ছামত কাজ করছেন । ভিজিডি চালের ব্যাপারে তিনি জানান , চাল উত্তোলনের সময় শুধু আমাকে নিয়ে গিয়েছে সই করার জন্য । সচিব ও মেম্বার মিলে কিভাবে স্লিপ বন্টন করেছেন তা আমি অবগত নই । পাইকারদের হাতে সিলিপ কিভাবে গেল সেটা সচিবই ভালো বলতে পারবেন । ৪০ দিনের মাটিকাটা বিষয় তিনি বলেন , এটাও আমার জানার বাইরে , মাইকিং করা হয় খাতা মধুপুর চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে । কিন্তু এখানেও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নাম উল্লেখ করা হয়নি । সবকিছু সচিব রহিদুল নিয়ন্ত্রণ করে তাই কোন অনিয়মের বিষয়ে আমি অবগত নই । খাতা মধুপুর ইউনিয়নবাসী দুর্নীতিবাজ সচিব রহিদুলের অপসারণ সহ বিচার দাবি করেছেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ।
[বাংলা প্রেস বিশ্বব্যাপী মুক্তচিন্তার একটি সংবাদমাধ্যম। স্বাধীনচেতা ব্যক্তিদের জন্য নিরপেক্ষ খবর, বিশ্লেষণ এবং মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজ আগের চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]
বিপি/টিআই