রোজার আগে অধিকাংশ নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকলেও নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে মুরগির দাম; রসুনের দাম কমে আসলেও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে আরেক ধাপ।
কারওয়ান বাজারের মুরগির দোকানগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগি ১৫৫ টাকা থেকে ১৬০ টাকায়, লেয়ার মুরগি ২০০ টাকায় এবং পাকিস্তানি কর্ক মুরগি ৩০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
মুরগি বিক্রেতা আবুল বাশার মনা বলেন, গত এক মাস ধরে মুরগির দাম বাড়তি। একটু একটু করে বেড়ে এখন সব ধরনের মুরগির দামই ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে।
গত সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৪ টাকা বাড়ার পর চলতি সপ্তাহেও আরও দুই টাকা বেড়েছে। বাজারে এখন দেশি পেঁয়াজ ৪০ টাকা থেকে ৪২ টাকা আর ভারতীয় পেঁয়াজ ৩৫ টাকা।
অন্যদিকে গত সপ্তাহে চীনা রসুনের দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ১২০ টাকা হওয়ার পর তা আবার কমেছে। খুচরায় ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে রসুন।
কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা সেকেন্দার আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জেলার মোকামগুলোতে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। তাই ধীরে ধীরে ঢাকায়ও দাম বাড়ছে।
কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলদেশের সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, সরবরাহ ঘাটতির কারণে কোনো পণ্যের দাম ২/৪ টাকার বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়া ব্যবসা বাণিজ্যের স্বাভাবিক ঘটনা। তবে কেউ যদি মজুতদারি করে বা বাজারে একক আধিপত্য সৃষ্টি করে তা হবে অপরাধ।
“কিছুদিন আগে প্রায় এক সপ্তাহের ছুটি ভোগ করেছে দেশ। তখন আমদানি ঘাটতির কারণে পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেড়েছিল। আশা করি এটা ঠিক হয়ে যাবে।”
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ে উৎপাদনকারী, আড়তদার, পাইকারদের মধ্যে কোনো গোষ্ঠী যাতে কারসাজি করতে না পারে সেজন্য সরকারি নজরদারি চালু করার দাবি জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, দেশে পর্যাপ্ত শাক সবজি উৎপাদন হলেও সঠিক সংরক্ষণ ব্যবস্থা না থাকায় দামে ভারসাম্য থাকে না।
“মওসুমে কৃষকরা আলু, টমেটো বিক্রি করতে না পেরে রাস্তায় ফেলে দেন। আবার মওসুম শেষে এসব পণ্যের দাম আকাশ ছোঁয়া হয়ে যায়। এজন্য আমরা বার বার সরকারি উদ্যোগে সংরক্ষণ ব্যবস্থা চালুর কথা বলছি। ”
বাজারে কয়েক সপ্তাহ ধরে শাক সবজির দামও স্থিতিশীল আছে।
এদিন কারওয়ান বাজারে পটল ৩০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, বরবটি ৩৫ টাকা, ঢেঁড়শ ৩০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা দরে প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে।
আর মীরপুর বড়বাগ বাজারেও প্রায় একই দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। সেখানে বেগুন ৪০ টাকা, জালি কুমড়া ৩০ টাকা, ঢেড়শ ৩০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, শসা ৪০ টাকা দরে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে।
মিরপুর বড়বাগে আল মদিনা জেনারেল স্টোরের বিক্রেতা মাহমুদ হোসেন বলেন, এবার রোজায় অধিকাংশ মুদিপণ্যের দামই স্থিতিশীল। সবচেয়ে ভালো ছোলার দাম ৫ টাকা কমে ৮০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে চিনির দাম কেজিতে ২ টাকা বেড়ে ৬০ টাকায় পৌঁছেছে।