বাংলাপ্রেস ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ধর্ষককে গ্রেফতার করার সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ঢাবির আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।
একইসঙ্গে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন- ঢাবি ছাত্রীর ধর্ষণকারীকে এত দ্রুত গ্রেফতার করা গেলে চার বছর আগে কুমিল্লায় ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সোহাগী জাহান তনুর ধর্ষণ ও হত্যাকারীকে কেন এখনও গ্রেফতার করা যাচ্ছে না?
বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে এসব কথা বলেন তিনি। তনুর ধর্ষণ ও হত্যাকারীকে এখনও গ্রেফতার করতে না পারায় ক্ষোভও প্রকাশ করেন আসিফ নজরুল। স্ট্যাটাসটি পাঠকের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-
“দুদিনের মধ্যে ঢাবি ছাত্রীর ধর্ষক মজনুকে ধরা গেছে। ধন্যবাদ সরকারকে। কিন্তু সাথে সাথে কিছু প্রশ্ন তোলাও জরুরি এখন। কুমিল্লায় তনু ধর্ষণ আর হত্যার ঘটনা ঘটেছে প্রায় চার বছর আগে। সে ঘটনার পাশবিকতা স্তদ্ধ করেছিল গোটা সমাজকে। মজনুকে এক লহমায় ধরা গেলে, তনুর ধর্ষক/হত্যাকারীকে ধরা গেল না কেন আজো?
এটা কি মজনু আর তনুর ধর্ষকের শ্রেণিচরিত্র ভিন্ন বলে? মজনু তুচ্ছাতিতুচ্ছ একজন ব্যক্তি। তনুর হত্যাকারী নিশ্চয় এমন তুচ্ছ নয়। সে বা তারা নিশ্চয় ক্ষমতাবলয়ের কেউ। তা নাহলে এতো ভিন্নতা কেন?
মজনুকে গ্রেফতার সরকারের সামর্থ্যের প্রমাণ হলে এটা অন্যান্য ক্ষেত্রে দেখানো যায় না কেন? কেন হয় না তনুর ধর্ষক গ্রেফতার? কেন হয় না আরও বহু ধর্ষক গ্রেফতার?
কেন??”
২০১৬ সালের ২০ মার্চ টিউশনি শেষে বাসায় ফেরার পথে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ধর্ষণের পর হত্যা করা সোহাগী জাহান তনুকে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে ময়নামতি সেনানিবাসের পাওয়ার হাউসের পানির ট্যাংকের পাশে তনুর মৃতদেহ পাওয়া যায়। এ নিয়ে গোটা দেশে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার মির্জাপুরের মেয়ে তনুর বাবা ইয়ার হোসেন ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারি ছিলেন। ঘটনার প্রায় চার বছর পেরুতে চললেও এখনও প্রকৃত অপরাধীকে গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বিপি/কেজে