ঝিনাইদহ থেকে সংবাদদাতা: শিরোনাম দেখে কি চমকে উঠলেন ! ভাবতে পারেন ডিজিটাল ও সভ্যতার যুগে এমন ভুতুড়ে গ্রাম কি আছে ? জ্বি হ্য। এমন দুইটি গ্রাম হচ্ছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের ভাদালীডাঙ্গা ও হলিধানী ইউনিয়নের নাটাবাড়িয়া।
বর্ষা সমাগত হলে গ্রাম দুইটির বিয়ের অনুষ্ঠান বন্ধ থাকে। এমনকি কাদাপানির কারণে স্কুলের উপস্থিতিও কমে আসে। বৃদ্ধা ও রোগীদের কোলে করে উঠতে হয় পাকা রাস্তায়। ভাদালীডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ইউপি মেম্বর আবুল কালাম জানান, দুর্গাপুর মল্লিক বাড়ির মোড় থেকে বেতাই গ্রাম ভায়া ভাদালীডাঙ্গা সড়কটি চলাচলের অযোগ্য। তিনি বলেন, কাদাপানির কারণে কোন বাড়িতে বিয়েও হয়না। এমনকি বাড়ি থেকেও কেও বের হয়না। বলা যায় কাদাপানিতে অবরুদ্ধ দশা গ্রামবাসির। ভাদালীডাঙ্গা গ্রামের আনিছুর রহমান জানান, দুর্গাপুর কচাতলার মোড় থেকে ভাদালীডাঙ্গা গ্রামের মরহুম রায়হানের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তাটি এতটাই খরাপ যে রোগী ও বৃদ্ধ মানুষ কোলে করে নিয়ে চলাচল করতে হয়।
কাদার জন্য মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারে না। তিনি বলেন, ডিজিটাল ও সভ্যতার এই যুগে এমন রাস্তার কথা কেও কল্পনাও করতে পারে না। হলিধানী ইউনিয়নের নাটাবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা মোঃ শামীম হোসেন জানান, প্রচন্ড কাদার কারণে তাদের গ্রামের আসাদুল ইসলাম নামের এক শিশু অসুস্থ হলে তার মা তাকে কোলে নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যান। আর বাদশা তার অসুস্থ স্ত্রীকে কোলে তুলে হাসপাতালে নিয়েছিলেন। নাটাবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম জানান, বর্ষার সময় স্কুলে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ৩০ শতাংশ কমে যায়।
এই দুটি কাঁচা রাস্তা পাকা করার দাবী এলাকাবাসীর বহু দিনের। কিন্তু জনপ্রতিনিধিদের দুর্বল তত্বাবধান ও এলজিইডির গাফলতির কারণে ভাদালীডাঙ্গা ও নাটাবাড়িয়া গ্রামের মানুষ এখনো সেই ভুতুড়ে পরিবেশে বসবাস করছেন।
বিপি/আর এল