লালমনিরহাট থেকে সংবাদদাতা : প্রায় এক মাস কারা ভোগ শেষে লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন দিয়ে ২৫ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে ভারত সরকার।
বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বুড়িমারী স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশনের পুলিশ কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়।
জানা গেছে, বাংলাদেশি বৈধ পাসপোর্ট ও ভিসা নিয়ে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত বিভিন্ন সময় কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার ২৬ নাগরিক ভারতের আসাম রাজ্যের ধুবড়ি জেলার বিভিন্ন এলাকার আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে যান। সেখানে করোনা ভাইরাসের কারণে ভারতে দ্বিতীয় লকডাউন ঘোষণা হলে গত ২ মে রিজার্ভ মিনিবাসে করে আসাম রাজ্যের জোরহাট জেলা থেকে পশ্চিমবঙ্গের চেংরাবান্ধা চেকপোস্ট হয়ে বাংলাদেশে ফেরার জন্য উদ্যোগ নেন ওই তারা।
ফেরার পথে ৩মে সকালে ভারতের বাহালপুর এলাকার ধুবড়ি জেলা পুলিশ তাদেরকে আটক করে। আটকের পর ৫মে পুলিশ ভিসা শর্ত ভঙ্গের মামলা দিয়ে জেলহাজতে পাঠায়।
এদিকে, জেলে থাকাকালীন ১ জুলাই বকুল মিয়া নামে এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়। পরে ৪ জুলাই মৃত ব্যক্তির মরদেহ বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন দিয়ে ফেরত দেয় ভারত।
আইনজীবীরা আদালতের শরণাপন্ন হলে ধুবড়ি জেলার বিলাসীপাড়া মহকুমার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জতিরুপা হালৈর আদালত গত শনিবার (২৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় ২৫ বাংলাদেশিকে মুক্তির আদেশ দেন। মুক্তি পেয়ে ২৫ বাংলাদেশি ভারতের চ্যাংরাবান্ধা ইমিগ্রেশন হয়ে বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করে।
বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘উভয় দেশের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশে ভারতীয় পুলিশ ২৫ বাংলাদেশিকে আমাদের নিকট হস্তান্তর করে। তারা এখন তাদের পরিবারের কাছে ফিরে যাচ্ছেন।
বিপি/আর এল