ফরিদপুর প্রতিনিধি: আগামি ২৬ ডিসেম্বর নির্বাচনে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ময়না ইউনিয়নে কে হচ্ছেন ইউপি চেয়ারম্যান এবং খরসূতি ঈদগাহ, গোরস্থানের সভাপতি এ প্রশ্ন ইউনিয়ন বাসির মধ্যে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।
ইউনিয়নের বান্ধু গ্রামের বাসিন্দা আ. রউব শেখ (৪৪), হাটুভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা ওয়াহাব মোল্যা (৭৫), বিলসড়াইল গ্রামের বাসিন্দা ছিদ্দিকুর রহমান (৭০) সহ আরো একাধিক ব্যক্তি বলেন, কয়েকযুগ আগে নিয়ম করা হয় ময়না ইউনিয়নে যে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন সে হবে খরসূতি ও গোরস্থানের সভাপতি। সে নিয়ম অনুযায়ী এ পর্যন্ত যারা ওই ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন নিয়ম অনুযায়ী তারাই ঈদগাহ ও গোরস্থানের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
কয়েক যুগের নিয়ম এখন ইউনিয়ন বাসির জন্য বিপদ হয়ে দাড়িয়েছে। ময়না ইউনিয়নে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন ৭জন।এ বছর ময়না ইউনিয়ন থেকে নৌকা প্রতিক পেয়ে নির্বাচন করছেন পলাশ বিশ্বাস। সে যদি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তা হলে কে হবেন ঈদগাহ ও গোরস্থানের সভাপতি। যেখানে পূর্বের নিয়ম রয়েছে চেয়ারম্যানই হবেন সভাপতি। এমন নিয়মের কারনে চরম বিপাকে পড়েছে ইউনিয়নের ভোটাররা।
উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও ময়না ইউনিয়নের বর্তমান নাসির মো. সেলিম বলেন, আমি তিনবার ময়না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে নিয়ম অনুযায়ী খরসূতি ঈদগাহ ও গোরস্থানের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পাল করে আসছি। অনেক বছর আগে নিয়ম করা হয়েছিল ময়না ইউনিয়নে যে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয় সে ওই সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সভাপতি অটো হয়ে যায়। সে নিয়ম এখনও চালু রয়েছে। মাঝে আজম মৃধা চেয়ারম্যান ছিলেন ৫ বছর।
তখন সে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। পূর্বের নিয়ম এখনও পরিবর্তন করা হয়নি।ময়না ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আশরাফুজ্জামান মিলন বলেন, ময়না ইউনিয়নের খরসূতি ঈদগাহ ও গোরস্থানের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন চেয়ারম্যানরা। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে ওই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অটো সভাপতি হয়ে যান। সে নিয়ম এখন পর্যন্ত পরিবর্তন করা হয়নি।
এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা অভিযোগ করে বলছেন, নৌকা প্রতিকের সমর্থকরা ভোট কেটে নেওয়ার হুমকি দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে।
বিপি/কেজে