সুলতানা মাসুমা, লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ সেদিন এক কলেজ ছাত্রীকে বললাম রোভার স্কাউট এ অংশগ্রহণ করার জন্য কিন্তু সে বলল তার রোভার স্কাউট এ অংশগ্রহণ করতে খুব ইচ্ছে কিন্তু পরিবারেে। বাবা, ভাই কেউ দিতে চায় না। এভাবে একটা ছাত্রীর প্রতিটি সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড খেলাধুলায় বাঁধার সম্মুখীন হতে হয় ।যার ফলে একটি নারীর বহুমুখী প্রতিভা বিকশিত হতে পারেনা। অনেক সময় একটি মেয়ের লেখাপড়া মাঝপথে থামিয়ে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। চাকুরী করতে দেয়া হয় না। নারীর নিরাপত্তাহীনতা এর জন্য দায়ী কারা? সমাজের মানুষগুলোর মানসিকতা? সুষ্ঠু আইন প্রয়োগের অভাব? নাকি আইনের ফাঁক দিয়ে দোষী ব্যক্তির শাস্তি না পাওয়া? আজও ঘটেছে লক্ষ্মীপুরে স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী উত্ত্যক্তের ঘটনা।
লক্ষ্মীপুরে স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় মো. ইব্রাহিম নামে এক ব্যক্তির ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। অটোরিকশাটিই তাদের উপার্জনের একমাত্র মাধ্যম ছিল।
শনিবার (২৬ মার্চ) রাতে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের পিয়ারাপুর গ্রামের আলী হাজ্বী বাড়ির সামনে রাখা অটোরিকশাটি খড়কুটা ও কাঠ দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়৷
সদর মডেল থানার অভিযোগ সূত্র জানা যায়, প্রায় এক বছর ধরে শরীফদের বাড়ির সামনে ইব্রাহিম রাতে অটোরিকশাটি রাখতেন। এদিকে ইব্রাহিমের মেয়েকে শরীফ প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতেন৷ এ নিয়ে শরীফের বিরুদ্ধে এলাকায় একাধিকবার শালিসি বৈঠক হয়।
তখন থেকেই শরীফ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। কয়েকদিন ধরে শরীফ বিভিন্নভাবে ইব্রাহিমকে হুমকি দেয়৷ বাড়ির সামনে অটরিকশা রাখলে পুড়ে দেয়ার হুমকিও দেয় শরীফ।
প্রতিদিনের মতো শনিবার রাতে ওই বাড়ির সামনেই ইব্রাহিম অটোরিকশাটি রেখে যায়। রাতের কোনো একসময় ওই রিকশাটি খড়কুটো ও কাঠ দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়৷
ভুক্তভোগী মো. ইব্রাহিম বলেন, শরীফ আমার অটোরিকশা পুড়িয়ে দেবে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে শাসিয়েছে। সেই আমার অটোরিকশা পুড়িয়ে দিয়েছে। উপার্জনের একমাত্র মাধ্যমটি পুড়িয়ে আমাকে নিঃস্ব করে দিয়েছে। স্ত্রী-সন্তানদের মুখে আমি ভাত তুলে দেবো কিভাবে। এদিকে অভিযুক্ত শরীফের বাড়িতে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। মোবাইলফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
বিপি/আর এল