সুলতানা মাসুমা, লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে স্মৃতি আক্তার (২০) নামের এক গৃহবধূ নিখোঁজের ১০দিনেও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এতে গৃহবধুর বাবার পরিবার ও স্বামীর পরিবারে চরম উদ্ধিগ্ন রয়েছেন। তিনি উপজেলার চরমোহনা গ্রামের আমির উদ্দিন ঢালি বাড়ির প্রবাসী মোঃ রফিকের মেয়ে। রোববার দুপুরে (৫ অক্টোবর) বাবার বাড়ি থেকে স্বামী ফখরুল ইসলাম টিটুর (২৫) রাখালিয়া গ্রামস্থ নুরুল ইসলাম পিয়ন বাড়িতে যাওয়ার পথে তিনি নিখোঁজ হন। ওই ঘটনায় বুধবার (১২ অক্টোবর) সকালে রায়পুর থানায় সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেছেন স্মৃতির মা মাহিনুর বেগম (৪২)।
মাহিনুর সাংবাদিকদের জানান, বুধবার মেয়ে তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসে। রোববার দুপুরে সে স্বামী ও শশুরের জন্য দুপুরের খাবার নিয়ে ওই বাড়িতে রওয়ানা দেয়। কিন্তু দীর্ঘ সময়েও না পৌঁছায় জামাতা টিটু আমাকে ফোন দিয়ে মেয়ের না যাওয়ার কারণ জানতে চায়। মেয়ে ওইদিন নির্ধারিত স্থানে না নেমে অন্য একটি স্থানে নেমে যায় বলে অটো রিকশার চালক জানিয়েছেন। ৮ দিন ধরে মেয়ে নিখোঁজ থাকলেও এখনো কোনো সন্ধান না পাওয়ায় আমরা চরম দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। জামাতা ও শশুর পরিবারের বিরুদ্ধে তার কোনো অভিযোগ ছিল না। এ ঘটনায় আমি বাদি হয়ে রায়পুর থানায় জিডি করেছি।
গৃহবধূর শশুর নুর মোহাম্মদ (৬৪) বলেন, আমার স্ত্রী বেঁচে নেই। পুত্রবধূ স্মৃতিই ছিল আমাদের সংসারের প্রাণ। তাঁর হঠাৎ নিখোঁজে আমরা চিন্তিত। কারো বিরুদ্ধে পুত্রবধূর কখনো কোনো অভিযোগ ছিল না। তাঁর কাছে কোনো মোবাইলও ছিল না। তবে তাঁর ব্যবহৃত টেবিলের ড্রয়ারে কয়েকটি মোবাইল নম্বর পাওয়া গেছে। এগুলোর সূত্রধরেই হয়তো পুত্রবধূকে ফিরে পাবো এমন আশায় রয়েছি। সে বিপদগামি হয়েও যদি ফিরে আসে, তবে আমরা স্বাভাবিকভাবেই তাকে গ্রহণ করে নেবো। ব্যবহার ও কাজ দিয়ে সে পুত্রবধূ থেকে আমার মেয়ের স্থানটি দখল করে নিয়েছে।
স্মৃতি আক্তারের স্বামী ফখরুল ইসলাম টিটু বলেন, স্ত্রীকে ফিরে পেতে সম্ভাব্য স্থানগুলোতে খুঁজে বেড়াচ্ছি। আমাকে স্বাভাবিকভাবে ছেড়ে গেলেও এতোটা কষ্ট পেতাম না। কিন্তু এখন প্রতিটা মুহুর্ত তাঁকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। আবেগের বশে খারাপ লোকের পাল্লায় পড়লে সে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই সে যেখানেই আছে থাকুক। তবে আমরা তার সঠিক অবস্থানটি নিশ্চিত হতে চাই।
রায়পুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ হাসান জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এ ঘটনায় বুধবার ওই গৃহবধূর মা মাহিনুর বাদি হয়ে সাধারন ডায়রি করেছেন। দেশের সকল থানায় নিখোঁজ বার্তা পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি দেখার জন্য একজন উপ-পরিদর্শককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বিপি>আর এল