মমিনুল হক রুবেল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়নের লাপাং গ্রামে শশুড়বাড়িতে বেড়াতে এসে লাশ হলো ওমান প্রবাসী স্বামী। নিহতের নাম রুবেল মিয়া পিতা জারু মিয়া বাড়ি উপজেলার সাতমোড়া ইউনিয়নের চেলিখলা গ্রামে। লাশটি ঝুলন্ত অবস্থায় রেখে বউসহ বাড়ির সবাই ঘরে তালা ঝুলিয়ে আত্মগোপন করায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।আজ শুক্রবার লাপং মধ্যপাড়া শফিকুল ইসলামের বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা?এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে একটি ইউডি মামলা করেছে।তার দাবী পরিকল্পিতভাবে তার ছেলেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ ধারণা করছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে হতে পারে তবে ময়নাতন্তের পর জানা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা।
পারিবারিক ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলর নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়নের লাপাং গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে সুমাইয়া বেগমকে একই উপজেলার সাতমোড়া ইউনিয়নের চেলিখলা গ্রমের জারু মিয়ার ওমান প্রবাসী ছেলে রুবেল গত তিন মাস পূর্বে বিয়ে করেন। বিয়ের কয়দিন পর সুমাইয়া প্রবাসী স্বামীকে ফেলে অন্যত্রে পালিয়ে গেলে তার পরিবারের লোকজন পার্শবর্তী উপজেলা মুরাদনগরের কোম্পানিগঞ্জ থেকে সুমাইয়াকে উদ্ধার করেন স্বামির বাড়িতে দিয়ে আসেন।
গত ১৫ দিন পূর্বে স্বামীর সাথে কথা কাটাকাটি করে পূনরায় কাউকে না বলে তার পিত্রালয় লাপাং চলে আসে। পরে ৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে তার স্বামীর মুঠোফোনে ফোন করে তাকে এসে নিয়ে যেতে বলায় ঐদিন রাত ১১ টায় স্বামী রুবেল তার নিজ বাড়িতে থেকে তার শ্বশুর বাড়িতে আসেন। গতকাল শুক্রবার সকালে তার শ্বশুর বাড়ির রান্নাঘরে রুবেলের ফাঁস লাগানো অবস্থায় লাশ ঝুলে থাকতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়।পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাশ উদ্ধার করে নবীনগর থানায় নিয়ে আসেন। ঘটনার পর থেকে স্ত্রী সুমাইয়া সহ তার পরিবারের লোকজন বাড়িঘর তালা দিয়ে পালিয়েছে।
নিহত রুবেলের বাবা জারু মিয়া দাবী,খাবারের সাথে বিশ মিশিয়ে ছেলেকে হত্যা করে রান্নাঘরের তীরের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। ঝুলন্তবস্থায় তার পায়ের হাটো মাটিতে লেগে ছিল।
এ বেপারে নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান,লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে,ময়নাতেদন্তের রিপোর্ট পেলে বলা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা।
বিপি>আর এল