১৪ অক্টোবর ২০২৫

আজ পবিত্র লাইলাতুল কদর

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৭ পিএম
আজ পবিত্র লাইলাতুল কদর

বাংলাপ্রেস ঢাকা: আজ দিবাগত রাত মহা মহিমান্বিত, অভাবনীয়। নিশ্চিত পুণ্যের অভাবনীয় খাজাঞ্চি সাজানো রজনী-পবিত্র লাইলাতুল কদর। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, হাজার মাসের অপেক্ষা এই রাত সর্বশ্রেষ্ঠ। মহিমান্বিত সে রাতটি আজকের দিন শেষে আসার সম্ভাবনা বেশি।

আজ ২৬ রমজান। দিনের শেষে আসন্ন রাতটি ২৭ রমজানের রাত হিসেবে চিহ্নিত। হাদিস শরীফের বর্ণনা অনুযায়ী আজকের রাতটি পবিত্র লাইলাতুল কদর হওয়ার সম্ভাবনা অধিক। মাসব্যাপী সিয়াম সাধনা শেষে অধিক সম্ভাবনার ভিত্তিতে আজ রাতে সারা দুনিয়ার ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পবিত্র লাইলাতুল কদর অন্বেষণ করে থাকেন। মাহে রমজানের বিশেষ ফজিলত ও গুরুত্ব অনেকাংশে মহিমান্বিত এ রাতের কারণেই বৃদ্ধি পেয়েছে। পবিত্র রমজানের এ রাতে লাওহে মাহফুজ থেকে নিম্ন আকাশে মহাগ্রন্থ আল কোরআন অবতীর্ণ হয়। আল্লাহ্ সুবহানাহু তা’য়ালা সুরা ক্বদরে বলেন, ‘নিশ্চয় এ কোরআন আমি লাইলাতুল কদরে নাজিল করেছি।’ অন্য আয়াতে বলেন, ‘রমজান মাস, এ মাসেই কোরআন অবতীর্ণ হয়।’ পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা লাইলাতুল কদরকে হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম বলে অভিহিত করেছেন। এর অর্থ হলো, সাধারণ এক হাজার মাস তথা তিরাশি বছর চার মাস প্রতিরাত জাগ্রত থেকে নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত ইত্যাদি নফল ইবাদত করলে যে সওয়াব হবে, এই এক রাতের ইবাদতে তার চেয়েও অনেক বেশি সওয়াব পাওয়া যাবে। শবে কদরকে আরবিতে লাইলাতুল কদর বলা হয়। আরবি ভাষায় ‘লাইলাতুন’ অর্থ হলো রাত্রি বা রজনী এবং ‘কদর’ শব্দের অর্থ সম্মান, মর্যাদা, মহাসম্মান। এ ছাড়া এর অন্য অর্থ হলো ভাগ্য, পরিমাণ ও তাকদির নির্ধারণ করা। এ রাতের ফজিলত সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা ‘আলফ’ তথা ‘হাজার’ শব্দ ব্যবহার করেছেন। আলফ আরবি গণনার সর্বোচ্চ সংখ্যা। মুফাসসিররা বলেন, যদি এর চেয়ে বড় আরো কোনো সংখ্যা প্রচলিত থাকত, তাহলে আল্লাহ তায়ালা হয়তো তা-ই ব্যবহার করতেন। এ ছাড়া, শবে কদরের ফজিলত তো আর হাজার মাসের মধ্যে সীমিত করা হয়নি। বরং বলা হয়েছে, লাইলাতুল কদর হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। তার সঠিক পরিমাণ কত, তা আল্লাহই ভালো জানেন। এখানে সংখ্যার হিসাব মুখ্য নয়, আল্লাহর অশেষ দানটিই প্রধান হিসেবে প্রতিভাত হবে। লাইলাতুল কদর উম্মতে মোহাম্মদীর একক সৌভাগ্য। আর কোনো নবীর উম্মতকে এ ধরনের ফজিলতপূর্ণ কোনো রাত বা দিন দান করা হয়নি। আগেকার নবীদের উম্মতরা অনেক আয়ু পেতেন। এজন্য তারা অনেকদিন ইবাদত করারও সুযোগ পেতেন। সে তুলনায় উম্মতে মোহাম্মদীর আয়ু নিতান্তই কম। এজন্য আল্লাহ তায়ালা তার বিশেষ দয়ায় মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের উম্মতকে মহিমান্বিত এ রাত দান করেছেন। যারা এ রাত ইবাদত করে কাটাবেন, তাদের জন্য রয়েছে মহাপুরস্কারের ঘোষণা।
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন