১৪ অক্টোবর ২০২৫

বাবা-মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন শিল্পী খালিদ

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪১ পিএম
বাবা-মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন শিল্পী খালিদ
বাংলাপ্রেস ডেস্ক: গোপালগঞ্জে গেটপাড়া পৌর কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন আশি ও নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ‘চাইম’ ব্যান্ডের ভোকালিস্ট খালিদ সাইফুল্লাহ আনোয়ার। আজ মঙ্গলবার বাদ জোহর গোপালগঞ্জে এস এম মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজার নামাজের পর গেটপাড়া পৌর কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফণ করা হয়। এদিকে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনপ্রিয় এ সংগীত শিল্পীর প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহসিন উদ্দীন। আজ মঙ্গলবার ভোর চার টায় খালিদের লাশ গোপালগঞ্জ শহরের বাড়িতে এসে পৌঁছায়। এ খবর পেয়ে সকাল থেকে প্রিয় শিল্পীকে এক নজর দেখতে বাড়িতে এসে ভিড় জমায় সহপাঠী, বন্ধু-বান্ধব, পাড়া-প্রতিবেশী ও স্বজনরা। এসময় সেখানে এক শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে, নাতি খাতি বেলা গেলো, যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে, কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে, সরলতার প্রতিমা’র মতো অসংখ্য জনপ্রিয় গানের স্রষ্টা এই শিল্পী। ওইদিন সন্ধ্যায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে শিল্পী খালিদকে তাৎক্ষণিকভাবে ‍গ্রিন রোডের কমফোর্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর রাত ১১ টায় ঢাকার গ্রিন রোড জামে মসজিদে খালিদের প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। পারিবারিকসূত্রে জানা যায়, কয়েক বছর ধরে হৃদরোগে ভুগছিলেন খালিদ। একাধিকবার হৃদরোগের চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। ১৯৬৩ সালে গোপালগঞ্জ শহরের কলেজ রোডের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে খালিদ সাইফুল্লাহ আনোয়ার জন্মগ্রহণ করেন। পরিবারে তিন ভাই ও চার বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট। তার পিতা ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক বি এ হেমায়েত উদ্দিন ও মাতা আনোয়ারা বেগম। ছোট বেলা থেকেই গানের প্রতি ঝোঁক ছিল তার। স্থানীয় শিল্পকলা একাডেমি ও পারিবারিক পরিমণ্ডলে শৈশবে তার সংগীত চর্চা শুরু হয়। ছাত্রজীবনেও একজন সংগীত শিল্পী হিসেবে স্কুল ও কলেজের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান করে ব্যাপক প্রশংসা কুড়ান। আশির দশকে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। ৮৩ সালে সমমনা শিল্পীদের নিয়ে তিনি ‘চাইম’ নামে একটি ব্যান্ড দল গঠন করেন। তিনি ছিলেন চাইম-এর ভোকালিস্ট।ওইসময় খালিদ সাইফুল্লাহ’র কণ্ঠে বেশ কিছু গান হিট হয়। যা পরবর্তীতে ব্যান্ড দল চাইম’কে জনপ্রিয়তার শিখরে নিয়ে যায়। তার ওইসব জনপ্রিয় গান আজও মানুষের মুখে মুখে বাজে। সংগীত শিল্পী খালিদ সাইফুল্লাহ’র স্ত্রী শামীমা জাহান ও একমাত্র ছেলে আরিক যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন। তার বড় ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজবাহ উদ্দিন আহসান গোপালগঞ্জে থাকেন। মেজ ভাই ছিলেন, বিখ্যাত আইনজীবি ও বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা’র) প্রতিষ্ঠাতা মরহুম ড. মহিউদ্দিন ফারুক। বিপি/টিআই  
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন