১৪ অক্টোবর ২০২৫

বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীতে বাইডেন-ব্লিনকেনের শুভেচ্ছা

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৯ পিএম
বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীতে বাইডেন-ব্লিনকেনের শুভেচ্ছা
নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং ৫০তম জাতীয় দিবসে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রেরিত প্রেস বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেন বলেন 'একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এবং একটি সুস্থ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য আমরা একসাথে কাজ করার ক্ষেত্রে বৈশ্বিক উন্নয়নে বাংলাদেশ যে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে তা অনস্বীকার্য।' এর আগে মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন বার্তা প্রেরণ করেছেন। শুভেচ্ছা বার্তায় বাইডেন বলেন, যে দশ লক্ষ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় প্রদান করে বাংলাদেশ বিশ্বে মানবতা ও উদারতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তিনি আরও বলেন যে সংকটটির স্থায়ী সমাধানের জন্য যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সাথে থাকবে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহের সাথে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৬ মার্চ) দিবসের অনুষ্ঠানের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহিদুল ইসলাম প্রধান অতিথি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মণ্ত্রণালয়ের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মুখ্য উপ-সহকারী সচিব আরভিন মাসিংগাকে সংগে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর রাষ্ট্রদূত এবং প্রধান অতিথি দূতাবাসে অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ ভাস্কর্যে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রর জাতীয় সংগীত বাজানোর পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি ভিডিও বার্তা প্রদর্শিত হয়। এরপরে রাষ্ট্রদূত এবং প্রধান অতিথি বক্তব্য প্রদান করেন। রাষ্ট্রদূত শহীদুল ইসলাম স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি মিয়ানমারের নিপীড়িত রোহিঙ্গা জনগণের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবিক সহায়তা জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রশংসা প্রকাশ করেন। তিনি সমগ্র ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য নিরাপত্তা হুমকিতে পরিণত হওয়ার আগে প্রলম্বিত রোহিঙ্গা সঙ্কটের একটি স্থায়ী সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে নেতৃত্ব প্রদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানান। মুখ্য উপ-সহকারী সচিব, আরভিন ম্যাসিঙ্গা বাংলাদেশ সরকার ও জনগণকে শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অংশীদার হিসাবে বাংলাদেশকে দেখছে। তিনি আরও বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বাংলাদেশ একটি শীর্ষস্থানীয় কণ্ঠস্বর হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে বাংলাদেশের এই নেতৃত্ব একটি সফল জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন (কপ–২৬) অনুষ্ঠানে অবদান রাখবে।” অপরাহ্ণে অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অংশে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডক্টর এ কে আব্দুল মোমেন এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো: শাহরিয়ার আলম কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। এরপর দূতাবাস পরিবারের সদস্যদের পরিবেশনায় একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচী সমাপ্ত হয়। বিপি।এসএম
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন