১৪ অক্টোবর ২০২৫

চূড়ান্ত জুলাই সনদ আজ দলগুলোর কাছে যাচ্ছে

Logo
বাংলাপ্রেস প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ১১:২৭ পিএম
চূড়ান্ত জুলাই সনদ আজ দলগুলোর কাছে যাচ্ছে

বাংলাপ্রেস ডেস্ক: রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আজ মঙ্গলবার জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত অনুলিপি পাঠাবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

 

তবে এই অনুলিপিতে সনদে থাকা ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাবের বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে কোনো সুপারিশ রাখা হয়নি। কমিশন জানিয়েছে, বাস্তবায়নের বিষয়টি পরে সরকারের কাছে সুপারিশ আকারে উপস্থাপন করা হবে। তবে সেই সুপারিশ সনদের অংশ হবে না।

 

এর আগে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত দুই ধাপে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে কমিশন। প্রথম পর্বে ৩৩টি এবং দ্বিতীয় পর্বে ৩০টি দল অংশ নেয় এই আলোচনায়। রাষ্ট্রের ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ খাতে, সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন, পুলিশ এবং বিচারব্যবস্থা— এই ছয়টি কমিশনের প্রস্তাবের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের সমন্বয়ে তৈরি করা হয় এই সনদ।

 

সব মিলিয়ে ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাবে রাজনৈতিক ঐকমত্য ও সিদ্ধান্ত এসেছে। এই প্রস্তাবগুলো নিয়েই তৈরি হয়েছে জুলাই জাতীয় সনদ। এটি তিনটি ভাগে বিভক্ত সনদের পটভূমি, সংস্কার প্রস্তাব এবং বাস্তবায়নের জন্য ৭ দফা অঙ্গীকারনামা।

 

সনদে স্বাক্ষরের জন্য আগামী শুক্রবার জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় একটি আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে ৩০টি দল ও জোটকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। এরই মধ্যে প্রতিটি দল থেকে দুজন করে স্বাক্ষরকারীর নাম কমিশনের কাছে পাঠানো হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত সবাই সই করবে কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়।

 

ঐকমত্য কমিশন সূত্র জানিয়েছে, যেসব দল আগে সনদের খসড়ায় মতামত দিয়েছে, সেই ভিত্তিতেই আজ তাদের কাছে চূড়ান্ত অনুলিপি পাঠানো হচ্ছে। সেখানে মূল কনটেন্ট অপরিবর্তিত থাকছে, শুধু কিছু ভাষাগত সংশোধন করা হয়েছে।

 

সনদে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি প্রদর্শনের সংবিধানের ৪(ক) অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করা। এই বিষয়ে দলগুলোর মতামত চাওয়া হলে প্রায় সব দল পক্ষে অবস্থান নেয়। তবে কমিশন জানিয়েছে, এই অনুচ্ছেদ-সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত পরবর্তী সংসদ নেবে। তাই সনদে তা আর উল্লেখ করা হয়নি।

 

বিপি/টিআই

[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন