
আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি: নীলফামারীর ডোমার উপজেলার ৪নং জোড়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৬জন চেয়ারম্যান প্রার্থীকে দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা গেছে।
আগামী ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপের নির্বাচনে শেষ মুহুত্বে নির্বাচনকে ঘিরে সকল প্রার্থী
এলাকার বিভিন্ন পাড়া, মহল্লায় ব্যপক প্রচার প্রচারণার পাশাপাশী সাধারণ মানুষের কাছে দোয়া ও ভোট চেয়ে পথসভা, উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ করে ব্যস্ত সময় পার করছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, খেলাধুলাসহ বিয়ের অনুষ্ঠানে তাদের ব্যপক উপস্থিত চোখে পড়ার মতো। সকলে ভোটারদের কাছে গিয়ে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিজ নিজ মার্কায় ভোট প্রার্থনা করছে।
এখন শুধু জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, ৬ প্রার্থীর মধ্যে কে হতে পারে জোড়াবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। ৬জন প্রার্থীর মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক রজব আলী মাষ্টার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে (ঘোড়া) প্রতিক। সাবেক চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন (আনারস) প্রতিক। ডোমার আইডিয়াল একাডেমীর অধ্যক্ষ মাওঃ মোছলেহুদ্দীন শাহ (চশমা) প্রতিক।
তরুন ছাত্রনেতা ফিরোজ পারভেজ উজ্জল (মোটরসাইকেল) প্রতিক। সমাজসেবক সাখওয়াত হাবিব বাবু (অটোরিক্সা) প্রতিক। ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক (নৌকা) প্রতিক নিয়ে ভোট যুদ্ধে নেমেছে। শিক্ষক রজব আলী মাষ্টার দীর্ঘদিন যাবত আ’লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। এবার তিনি নৌকা প্রতিক চেয়েছিলেন। দলথেকে মনোনয়ন না দেয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করছেন।
তিনি মনে করেন আমি একজন শিক্ষক আমার অনেক ছাত্র রয়েছে। নির্বাচিত হলে পরিষদকে সুন্দর ভাবে সাজিয়ে অসহায় ও অবহেলীত মানুষের ন্যয্য অধিকার আদায় করে গঠনমূলক পরিষদ তৈরী করবো। সাবেক চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন জানান, আশিদশকে আমার পিতা মরহুম আকবর আলী ৩বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়। পিতার মৃত্যুর পরে আমিও নিজেই ওই ইউনিয়নের ১বার চেয়ারম্যান ছিলাম। আশা করি এবারো বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয়ে সকল উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবো। ডোমার আইডিয়াল একাডেমীর অধ্যক্ষ মাওঃ
মোছলেহুদ্দীন শাহ বলেন, কোরআন ও হাদিসের আলোকে ভোট একটি পবিত্র আমানত।
আমি নির্বাচিত হলে গরিব দুঃখী ও অসহায় মানুষের পাশে থেকে সরকারের দেয়া অনুদান সঠিকভাবে বন্ঠন করে এলাকার উন্নয়নে ব্যপক ভুমিকা রাখবো এবং সুখে দুঃখে অসহায় মানুষের পাশে থাকবো। তরুন ছাত্রনেতা ফিরোজ পারভেজ উজ্জল বলেন, আমার পিতা সাবেক শিক্ষক মরহুম আব্দুল হাই সরকার স্বাধীনতার পর থেকে সফলতার সাথে ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতির দ্বায়িত্ব পালন করেন। পিতার আদর্শ বুকে লালন করে আমি নির্বাচিত হয়ে জোড়াবাড়ীকে একটি দূর্নীতি ও মাদকমুক্ত মডেল ইউনিয়নে রুপান্তর করতে সততার সাথে কাজ করে যাবো। সকলের দোয় কামনা করেন তিনি। সমাজসেবক সাখওয়াত হাবিব বাবু জানান, দীর্ঘদিন যাবত আমাদের ইউনিয়নটি অবহেলীত অবস্থায় ছিল। সাধারণ মানুষ তারা তাদের ন্যয্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। তারুন্যের বার্তা নিয়ে আমি এলাকায় বিগত দিনে অসহায় মানুষের সুখে দুঃখে পাশে দাঁড়িয়ে সমাজ উন্নয়নে ব্যপক ভুমিকা রেখেছি।
৫ জানুয়ারির ভোটে আমি নির্বাচিত হলে এলাকার দূর্নীতি, মাদক, জুয়া, বাল্য বিয়ে বন্ধ করে জোড়াবাড়ী ইউনিয়নকে উপজেলার মডেল ইউনিয়ন হিসাবে গড়ে তুলবো। ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এহ্সতেশামুল হক জানান, ১৯৯৯ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করি। পাশাপাশী এম,এ,বিএ্যাড শেষে করে ৭ বছর যাবত মিরজাগঞ্জ বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসাবে কর্মরত রয়েছি। প্রিয় নেত্রী আমাকে ভালবেসে নৌকা প্রতিক দিয়েছে। জাতির জনকের স্বপ্ন সোনার বাংলা গড়তে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে আমি নিরলস ভাবে কাজ করে যাবো।
বিপি/কেজে
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]