১৪ অক্টোবর ২০২৫

করোনা আক্রান্তে চীনকে ছাড়াল বাংলাদেশ

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৯ পিএম
করোনা আক্রান্তে চীনকে ছাড়াল বাংলাদেশ
বাংলাপ্রেস ডেস্ক: আরও ২৮৫৬ রোগী শনাক্ত হওয়ায় নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যায় চীনকে ছাড়িয়ে গেল বাংলাদেশ। বাংলাদেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৪ হাজার ৩৭৯ জনে। অন্যদিকে এই ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের উৎসস্থল চীনে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮৪ হাজার ২২৮ জন। চীনে প্রাদুর্ভাবের তিন মাস পর বাংলাদেশে নতুন করোনাভাইরাসের প্রথম রোগী ধরা পড়েছিল ৮ মার্চ, এর ১০ দিনের মাথায় প্রথম মৃতু্যর খবর আসে। বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৪ জনের মৃতু্য হয়েছে কোভিড-১৯ রোগে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৩৯। সারাদেশে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন আরও ৫৭৮ জন। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত মোট ১৭ হাজার ৮২৭ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা শনিবার দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সর্বশেষ তথ্য তুলে ধরেন। বুলেটিনে জানানো হয়, সারাদেশে ৫৯টি পরীক্ষাগারে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ হাজার ৬৩৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ১৭ শতাংশ। করোনাভাইরাসে বিশ্বে আক্রান্ত সাড়ে ৭৬ লক্ষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে ২০ লাখ ৪৮ হাজার জন। শনাক্ত রোগীর সংখ্যার বিচারে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে অষ্টাদশ স্থানে। বাংলাদেশের উপরে রয়েছে কানাডা, যেখানে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় এক লাখ। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বাংলাদেশের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক তালিকায় চতুর্থ স্থানে থাকা ভারতে ৩ লাখের বেশি আক্রান্তের মধ্যে মারা গেছেন প্রায় ৯ হাজার জন। পাকিস্তানে আক্রান্ত ১ লাখ ৩২ হাজারের মধ্যে মৃতু্য হয়েছে আড়াই হাজার জনের। বাংলাদেশে আক্রান্ত বিবেচনায় মৃতের হার ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ বলে জানান অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা। গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৩৩ জন পুরুষ, ১১ জন নারী। তাদের ২৭ জন হাসপাতালে, ১৪ জন বাড়িতে মারা গেছেন এবং ৩ জনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। মৃতদের ১৯ জন ঢাকা বিভাগের, ১৩ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ২ জন সিলেট বিভাগের, ৪ জন রাজশাহী বিভাগের, ৪ জন বরিশাল বিভাগের, ১ জন রংপুর বিভাগের এবং ১ জন খুলনা বিভাগের। মৃত ৪৪ জনের মধ্যে ৩ জনের বয়স ছিল ৮০ বছরের বেশি। ৭ জনের বয়স ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে। এছাড়া ১১ জনের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে, ১১ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৫ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৬ জনের বয়স ছিল ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ছিল ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। অধ্যাপক নাসিমা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে আনা হয়েছে ৪৯৬ জনকে। বর্তমানে সারাদেশে আইসোলেশনে রয়েছেন ৯ হাজার ৩৪০ জন রোগী। বুলেটিনে জানানো হয়, সারাদেশে ৫৯টি পরীক্ষাগারে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ হাজার ৬৩৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ১৭ শতাংশ। আর শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক ১৩ শতাংশ। বিপি।সিএম
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন