১৫ অক্টোবর ২০২৫

লক্ষীপুরের কমলনগরের ১২৯ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪০ পিএম
লক্ষীপুরের কমলনগরের ১২৯ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার
সুলতানা মাসুমা, লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার ১৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১২৯টি তেই শহীদ মিনার নেই। রাষ্ট্রভাষা বাংলা প্রতিষ্ঠার ৭০ বছর পূর্তি হলেও ওইসব প্রতিষ্ঠানগুলোতে আজও শহীদ মিনার নির্মিত না হওয়ায় ভাষা শহীদদের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা জানাতে পারছেনা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীরা। উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় কলেজ, মাধ্যমিক, নিম্নমাধ্যমিক, প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিন্ডার গার্টেন ও মাদরাসাসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৪০টি। এর মধ্যে তিনটি কলেজ, ১৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, চারটি নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৭০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৩টি কিন্ডার গার্টেন, ১৪টি দাখিল-আলিম-ফাজিল মাদরাসা ও ১২টি স্বতন্ত্র এবতেদায়ি মাদরাসা রয়েছে। কিন্তু ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি কলেজ ও ১০ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ছাড়া অপর ১২৯টি প্রতিষ্ঠানে আজও শহীদ মিনার নির্মিত হয়নি। শহীদ মিনার না থাকায় প্রতিবছর ২১ ফেব্রুয়ারি এলেই ওইসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিজ উদ্যোগে বাঁশ-কাঠ, আবার কোথাও কলাগাছ ও মাটি দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করে সেখানে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। যে কারণে, মহান ভাষা আন্দোলনের চেতনা সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের যথাযথ ধারণা নেওয়া ব্যাহত হচ্ছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি কামরুল হাসান জানান, উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শহীদ মিনার না থাকায় প্রতিষ্ঠানগুলোর কোমলমতি শিক্ষার্থীরা অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করে প্রতিবছর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করে। উপজেলার মাতাব্বরনগর দারুচ্ছুন্নাহ আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আলী হোসেন জানান, রাষ্ট্রভাষা বাংলা প্রতিষ্ঠার ৭০ বছর পূর্তি হলেও উপজেলার সবকয়টি মাদরাসা শহীদ মিনারবিহীন থাকা খুবই দুঃখজনক। তাই শহীদ মিনারবিহীন প্রতিষ্ঠানগুলোতে অতিদ্রুত শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানান তিনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান জানান, শহীদ মিনারবিহীন প্রতিষ্ঠানগুলোতে শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।   বিপি/কেজে
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন