১৫ অক্টোবর ২০২৫

লক্ষ্মীপুরে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪০ পিএম
লক্ষ্মীপুরে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা
সুলতানা মাসুমা, লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে ফেসবুকে অভিমানি স্ট্যাটাস দিয়ে ইউছুফ কামাল নামে এক ব্যবসায়ী রাতের অন্ধকারে না ফেরার দেশে চলে গেলেন। বুধবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে সদর হাসপাতাল থেকে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। ইউছুফ সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের হামছাদী গ্রামের আবদুর রহমান মাস্টার বাড়ির আবুল হাশেমের ছেলে। তিনি ঢাকার রায়েরবাগ এলাকায় স্যানাটারি দোকানির ব্যবসায়ী ছিলেন। খবর পেয়ে সকালে পুলিশ বাড়ির পাশের একটি নির্জন বাগান থেকে কামালের মরদেহ উদ্ধার করে। এর আগে মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) দিবাগত রাতের কোন একসময় গলায় ফাঁস লাগিয়ে তিনি মারা যান। পারিবারিক সূত্র জানায়, কামাল মাদক সেবনের সঙ্গে জড়িয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। বেশ কয়েকবার তাকে ঢাকাসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা করানো হয়। মঙ্গলবার বিকেলে মায়ের কাছ থেকে কামাল টাকা চেয়েছে। কামাল রোজা রাখেনি৷ এতে মা তাকে ভাত খাওয়ানোর পর ৫০০ টাকা দেয়৷ এরপর বাড়ি থেকে বের হলে আর ফেরেনি। ইফতারের সময় ভাই ইব্রাহিম ফোন দিয়ে তাকে বাড়িতে আসার জন্য বললেও আসেনি। সকালে বিভিন্ন স্থানে খুঁজেও তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। একপর্যায়ে বাগানে গিয়ে তার মরদেহ দেখতে পাওয়া যায়। মঙ্গলবার দুপুরে নিজ ফেসবুক আইডিতে অভিমান করে একটি স্ট্যাটাস দেন। তা হল- ‘এখন আর কেউ ভালোবাসে না। এই পৃথিবীতে যার টাকা আছে, তার দাম সবার কাছে আছে। হয়তো অভিমান করে চলে যাবো। আর আসবো না ফিরে’। কামালের ভাই ওমান প্রবাসী মো. ইব্রাহিম বলেন, ঢাকা সিটি কলেজ থেকে আমার ভাই অনার্স পাশ করে রায়েরবাগ এলাকায় ব্যবসা করে। এরমধ্যে কামাল মাদক সেবন করে অসুস্থ হলে কয়েকবার তাকে চিকিৎসা করানো হয়েছে। ৩ বছর আগে বিয়ে করেছে। ব্যবসায়ীক কারণে স্ত্রীকে নিয়ে সে ঢাকাতেই থাকতো। বাড়িতে মাঝে মধ্যে আসতো। কি কারণে সে আমাদের ছেড়ে এভাবে চলে গেলো, তা বুঝতে পারছি না। লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মমিনুল হক বলেন, অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। মরদেহ সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।   বিপি/কেজে
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন