১৫ অক্টোবর ২০২৫

লক্ষ্মীপুরে গৃহবধূর ওপর মুখোশধারীদের হামলা এবং নির্যাতনের চেষ্টা

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪০ পিএম
লক্ষ্মীপুরে গৃহবধূর ওপর মুখোশধারীদের হামলা এবং নির্যাতনের চেষ্টা
সুলতানা মাসুমা, লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে ৩ সন্তানের জননী রিনা আক্তারকে (৩০) নির্যাতনের চেষ্টায় হামলা চালিয়েছে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। এসময় গৃহবধূ জ্ঞান হারিয়ে অচেতন হয়ে পড়ে। স্থানীয়রা ৯৯৯ কল দিলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশের একটি টিম। শনিবার (১২ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পার্বতীনগর ইউনিয়নের (টি.টি.সি) এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। গৃহবধূর স্বামী শাহ্ আলম বলেন, প্রতিদিনের মত স্ত্রী ও সন্তানদের বাসায় রেখে সকালে কাজ চলে যান। সকাল ১১টার দিকে খবর পান তার বাসায় কে-বা করা বাউন্ডারি ওয়াল লাফিয়ে প্রবেশ করে। ওই সময় তার স্ত্রী রিনা আক্তার (ছোট) মেয়ে হামিদাকে নিয়ে (বাসা'র সামনে) উঠানে দাঁড়ানো ছিলো। মুখোশ পরা এক ব্যক্তি ধারালো ছুরি নিয়ে তার স্ত্রীকে তেড়ে আসে। একপর্যায়ে গৃহবধূর উচ্চ ভয়ার্ত-চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে ওই ব্যক্তি পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় উঠানে থাকা একটি পর্দার কাপড়ে ৫-৭টি কোপ দেয় ও জামা-কাপড় দেওয়ার রশি কেটে তসনস করে যায়। জ্ঞান ফিরলে গৃহবধূ রিনা আক্তার বলেন, বাঁচার জন্য বহুবার বাবা ডাকছি। যতবার হামলাকারী আমাকে ধরতে আসছে ততবার সরে দাঁড়াতাম। একপর্যায়ে আমার ওড়না দিয়ে পেঁচিয়ে অসংখ্য থাপ্পড় দেয় দুই গালে। আমি তাকে চিনতে পারিনি। গৃহবধূ আরো বলেন, তারা ৩ থেকে ৪ জন ছিলো। একজন ভিতরে প্রবেশ করে অন্যরা বাহির ছিলো। মুখোশ পরা ওই ব্যক্তির হাতে ছুরি ছিলো। তার উদ্দেশ্য ছিলো আমাকে নির্যাতন করার। আল্লাহ আমাকে রক্ষা করছে। ঘটনার সময় গৃহবধূ রিনা আক্তার আড়াই বছরের শিশুকন্যা হামিদাকে নিয়ে একাই ছিলেন বাসায়। বড় দুই সন্তান স্কুলে ছিলো। স্বামী পেশায় টাইলস মিস্ত্রি, তিনি কাজে ছিলেন। লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস আই) মোঃ রফিকুল ইসলাম দুপুরে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়। গৃহবধূকে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিপি/কেজে
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন