১৫ অক্টোবর ২০২৫

লক্ষ্মীপুরে মৃত্যুর ১১ দিন পর জানা গেল স্কুলশিক্ষিকাকে শ্বাসরোধে হত্যা

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪০ পিএম
লক্ষ্মীপুরে মৃত্যুর ১১ দিন পর জানা গেল স্কুলশিক্ষিকাকে শ্বাসরোধে হত্যা
সুলতানা মাসুমা, লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষিকা গীতা রানী পাল (৭২) এর মৃত্যুর ১১ দিন পর জানা গেল তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। রবিবার(২০ ফেব্রুয়ারী) ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসে এমন তথ্য। এতদিন তার মৃত্যু নিয়ে রহস্যের জট লেগেছিল। গত ৮ ফেব্রুয়ারী অজ্ঞাত চোরদের হাতে নিহত হয় গীতা রানী। পরদিন পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হলে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করায় পুলিশ। রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া বলেন, ঘটনার ১১ দিন পর শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) নিহতের ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পুলিশের হাতে এসেছে। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এদিকে ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে চিহ্নিত করা য়ায়নি। উদ্ধারও হয়নি হত্যার পর লুটে নেওয়া নিহতের সাথে থাকা স্বর্ণালংকার। এনিয়ে নিহতের পরিবারে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রায়পুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলী আশরাফ জুয়েল বলেন, হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তবে ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত চলছে। পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, গীতা রানী রামগঞ্জ উপজেলার পূর্ব মাছিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১১ সালে অবসর নেন। তিনি স্বামী দীনেশ চন্দ্র পালকে নিয়ে রায়পুরের উত্তর কেরোয়া গ্রামের পাল বাড়িতে থাকতেন। দীনেশও অবসরপ্রাপ্ত সহকারি প্রধান শিক্ষক। তাদের এক ছেলে চাকুরিজীবি হওয়ায় চট্টগ্রাম ও দুই মেয়ে স্বামীর বাড়িতেই থাকতেন। ৮ ফেব্রুয়ারি খাবার শেষে বেলা ৩ টার দিকে ঘরের দরজা খোলা রেখেই আলাদা কক্ষে গীতা রানী ও দীনেশ পাল ঘুমিয়ে পড়েন। সাড়ে ৫ টার দিকে স্ত্রীকে ডাকতে গিয়ে খাটে দেখেন, গীতা রানীর মরদেহ বিছানায় পড়ে আছে। এসময় তিনি ও আশপাশের লোকজন এসে দেখেন- গীতা রানীর হাত, কান ও গলায় থাকা স্বর্ণ নেই। ডান কানে হালকা রক্তজমাট ও মাথার সিঁদুর হালকা দেখা যায়। পাশের আরেকটি বালিশে সিঁদুর লেগে আছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল আসে। এ ঘটনায় পরদিন (৯ ফেব্রুয়ারি) নিহতের ছেলে বিপ্লব বিহারি পাল বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে রায়পুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার বাদি বিপ্লব বিহারি পাল বলেন, দিনদুপুরে আমার মাকে নির্দয়ভাবে হত্যা করা হয়েছে। তার হাত, কান ও গলায় প্রায় ২ ভরি স্বর্ণ থাকলেও তা ছিঁড়ে নিয়ে গেছে। এ ঘটনার মামলার পরও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। আমার মায়ের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। বিপি/কেজে
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন