১৫ অক্টোবর ২০২৫

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ৪০ দিনের কাজে ইউপি সদস্যের পকেট ভারী!

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪১ পিএম
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ৪০ দিনের কাজে ইউপি সদস্যের পকেট ভারী!
সুলতানা মাসুমা, লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ৪০ দিনের অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি প্রকল্পের কাজ একদিনেই শেষ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার দরবেশপুর ইউনিয়নের আলীপুর রেনেসা কিন্ডার গার্টেন স্কুল থেকে তাহের মাস্টারের বাড়ি পর্যন্ত সংস্কার কাজে এ ঘটনা ঘটে। প্রকল্প সভাপতি ও ইউপি সদস্য শেখ রফিক মিয়া ১০ জন শ্রমিক দিয়ে রাস্তার ১০ ফুট অংশে মাত্র একদিন কাজ করিয়েছেন। আরও ৩৯ দিন কাজ না করিয়েই তিনি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ৪০ দিনের অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি প্রকল্পের আওতায় রেনেসা কিন্ডার গার্টেন স্কুল থেকে তাহের মাস্টারেরর বাড়ি পর্যন্ত সড়কটির জন্য ৪ লাখ ৪৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এতে ৫০ জন শ্রমিক কাজ করার কথা। গত ১০ জুন কাজের শেষদিন ছিল। ১০ জন শ্রমিক দিয়ে মাত্র ১০ ফুট সংস্কার করানো হয়েছে। একদিনেই ৪০ দিনের কাজ শেষ করে দেওয়া হয়েছে।   শ্রমিকদের টাকা তাদের বিকাশ অ্যাকাউন্টে জমা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রকল্প সভাপতি ও দরবেশপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) শেখ রফিক মিয়া নিজেই ওই টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন। এ কাজে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দিলীপ দে’র যোগসাজশ ছিল বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায়ে সড়কটি সংস্কারের জন্য বরাদ্ধ দেওয়া হয়। প্রতিদিন ৫০ জন শ্রমিক এ কাজে নিয়োজিত থাকার কথা। এতে ৪ লাখ ৪৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ কাজে শ্রমিকদের জন্য দিনে ৪০০ টাকা করে মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে। ১০ জুন কাজটি শেষ হওয়ার কথা ছিল। প্রকল্পের সভাপতি ও ইউপি সদস্য শেখ রফিক মিয়া বলেন, গ্রামে অতিদরিদ্র লোক পাওয়া যায় না। ফলে মাটি কাটার দল এনে কাজ করাতে হয়েছে। দরবেশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, ওই কাজে কোনো ধরনের অনিয়ম হয়নি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) কাজটি বুঝে নিয়েছেন। তবে ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হবে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা দিলিপ দে বলেন, এই প্রকল্পে অনিয়মের বিষয়ে শুনেছি। ঘটনাটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। খোঁজ নিয়ে এ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বিপি/কেজে
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন