বাংলাপ্রেস ডেস্ক: সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর বলিউডের মাদকযোগ নিয়ে উত্তাল ছিল গোটা ভারত। দীপিকা পাড়ুকোন থেকে শুরু করে বলিউডের নামী অভিনেত্রীদের সমন পাঠিয়েছিল এনসিবি (নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো)।
মাদকবিরোধী প্রচারে এবার সেই নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর প্রচার মুখ হয়েছেন আলিয়া ভাট। এবার মাদক সেবনের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রলের মুখে পড়েছেন বলিউড অভিনেত্রী। এনসিবির চণ্ডীগড় বিভাগ সম্প্রতি টুইটার হ্যান্ডেলে আলিয়ার একটি ভিডিও পোস্ট করে, যদিও পরবর্তী সময় সেই ভিডিওর মন্তব্য বন্ধ করতে হয়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, আলিয়া মানুষকে মাদক সেবন করতে বারণ করছেন এবং তাদের মিশনে এনসিবিকে সমর্থন করতে আহ্বান জানাচ্ছেন।

আলিয়া বলেন, ‘নমস্কার বন্ধুরা, আমি আলিয়া ভাট। মাদকাসক্তির মতো অত্যন্ত গুরুতর বিষয় নিয়ে আজ আমি কথা বলতে চাই, জানাতে চাই এটি কীভাবে আমাদের জীবন, সমাজ এবং জাতির জন্য বড় সমস্যা হয়ে উঠছে।মাদকের বিরুদ্ধে এই বিশেষ অভিযানে এনসিবিকে সমর্থন করুন। জীবনকে হ্যাঁ বলুন, মাদককে না বলুন। আপনি নিচে দেওয়া লিঙ্কে গিয়ে বা কিউআর কোডটি স্ক্যান করে ড্রাগের বিরুদ্ধে ই-শপথ নিতে পারেন এবং আপনি অবশ্যই এনসিবির এই উদ্যোগে যোগ দিতে পারেন। জয় হিন্দ।
ভিডিওটি শেয়ার করার পরই দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর অভিনেত্রীকে ট্রল করতে শুরু করেন অনেকে। ট্রলিং শুরু হতেই এনসিবি-র হ্যান্ডেলের পক্ষ থেকে পোস্টের কমেন্ট বক্স বন্ধ করা হয়।
মাদকবিরোধী প্রচারের জন্য আলিয়া ভাট সঠিক বাছাই নন, এমনটাই মত নেটিজেনদের একটা বড় অংশের। একজন লিখেছেন, ‘বলিউড মাদক নিয়ে সচেতনতা ছড়াচ্ছে, ভাবা যায়!’ আবার কেউ কেউ ভিডিওটিকে ‘বিদ্রূপাত্মক’ বলে অভিহিত করেছেন।প্রসঙ্গত, বর্তমানে বলিউডে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম আলিয়া ভাট। তাকে শেষ দেখা গিয়েছিল ভাসান বালার ‘জিগরা’ ছবিতে। আগামীতে তাকে সঞ্জয় লীলা বানসালির ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’ এবং যশরাজ ফিল্মসের ‘আলফা’-তে দেখা যাবে।
[বাংলা প্রেস বিশ্বব্যাপী মুক্তচিন্তার একটি সংবাদমাধ্যম। স্বাধীনচেতা ব্যক্তিদের জন্য নিরপেক্ষ খবর, বিশ্লেষণ এবং মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজ আগের চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]
বিপি>টিডি
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]