১৫ অক্টোবর ২০২৫

নৌকার ভোট করার অপরাধে দুই সাবেক ছাত্রলীগ নেতার উপর হামলা

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪০ পিএম
নৌকার ভোট করার অপরাধে দুই সাবেক ছাত্রলীগ নেতার উপর হামলা
সুলতানা মাসুমা,লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি: থানায় এসেছিলেন নিজেদের নিরাপত্তা চাইতে। আর যাওয়ার সময় প্রতিপক্ষের লোকজনের হামলায় আহত হয়েছেন সাবেক দুই ছাত্রলীগ নেতা। শনিবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ বাজারের সমতা সিনেমা হলের সামনে ঘটেছে এই ঘটনা। আহতরা হলেন- চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু (২৮) ও চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জিকু (৩৪)। তাদের সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এম আলাউদ্দিন। আহত বাবলু চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের দেওপাড়া গ্রামের কাজী সিরাজুল ইসলামের ছেলে এবং জিকু পাঁচপাড়া গ্রামের মৃত আবদুর রহমানের ছেলে। ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন আহতরা। তাদের দাবি, চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করায় বর্তমান চেয়ারম্যান ঘোড়া প্রতীকের নুরুল আমিনের লোকজন এ হামলা চালিয়েছে। হামলায় জড়িতরা হলেন- চন্দ্রগঞ্জ এলাকার মনির, তাজু, রিয়াজ, নোমান, আজিম ও রনিসহ ৩০-৩৫ জন। অভিযুক্ত চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন। নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর আগে ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর উপনির্বাচনে দলীয় প্রতীকে ভোট করে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। আহতরা জানান, নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আইনুল আহম্মেদ তানভীর পরাজিত হওয়ার পর থেকে বর্তমান চেয়ারম্যান নুরুল আমিনের লোকজন বিভিন্ন সময়ে ছাত্রলীগ নেতা কাজী বাবলুকে হুমকি দিয়ে আসছেন। এ নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় তারা চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসিকে বিষয়টি অবহিত করতে যান। থানা থেকে বের হয়ে রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাবলু এবং জিকু মোটরসাইকেলযোগে চন্দ্রগঞ্জ বাজারের দিকে যাওয়ার সময় চেয়ারম্যান নুরুল আমিনের লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে বাবলু মাথা এবং জিকু চোখ ও মাথায় আঘাত পান। এ ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা চন্দ্রগঞ্জ বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করেন। অভিযোগের বিষয়ে চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বঙ্ঙ্গ জননীকে বলেন, হামলার ঘটনাটি শুনেছি। কিন্তু ঘটনার সঙ্গে আমি বা আমার লোকজন জড়িত নয়। রাজনৈতিক প্রতিহিংস্যার জেরে ঘটনার দায় আমার ওপর চাপাচ্ছে। চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে ফজলুল হক বাংলানিউজকে বলেন, থানা থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর তারা হামলার শিকার হয়েছে বলে জেনেছি। বিপি/কেজে
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন