১৪ অক্টোবর ২০২৫

অভিনেতা কোটা শ্রীনিবাস মারা গেছেন

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪২ পিএম
অভিনেতা কোটা শ্রীনিবাস মারা গেছেন
      বাংলাপ্রেস ডেস্ক: তেলেগু অভিনেতা ও পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত কোটা শ্রীনিবাস রাও মারা গেছেন। হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় আজ রোববার সকালে হায়দরাবাদের জুবিলি হিলসের ফিল্মনগরের নিজ বাসভবনে মৃত্যু হয় এ অভিনেতার। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। মাত্র তিন দিন আগেই উদ্‌যাপন করেছিলেন নিজের জন্মদিন। চার দশকের বেশি সময় ধরে সিনেমায় সক্রিয় থাকা কোটা শ্রীনিবাস রাও তেলেগু, তামিল, কন্নড়, হিন্দি—মোট চারটি ভাষায় ৭৫০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তাঁর অভিষেক ঘটে ১৯৭৮ সালে তেলেগু ছবি ‘প্রাণম খরিদু’র মাধ্যমে। খলনায়ক, কমেডি কিংবা পার্শ্বচরিত্র—সব ধরনের চরিত্রেই ছিলেন সমান দক্ষ। ২০০৫ সালে বলিউডে অভিষেক ঘটে রাম গোপাল ভার্মার ‘সরকার’ ছবিতে ‘সিলভার মনি’ চরিত্রের মাধ্যমে। তাঁর কিছু উল্লেখযোগ্য ছবি হলো ‘আহা না পেল্লান্তা!’, ‘প্রতিঘাতনা’, ‘খাইদি নাম্বার ৭৮৬ ’ ও ‘শিবা’। অসাধারণ অভিনয় তাঁকে এনে দেয় পদ্মশ্রী (২০১৫), ৯টি নন্দী অ্যাওয়ার্ডসহ বহু সম্মাননা। রাজনৈতিক অঙ্গনেও সক্রিয় ছিলেন তিনি। ১৯৯৯ সালে বিজয়ওয়াড়া পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়ে বিধায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ২০০৪ পর্যন্ত। শ্রীনিবাস রাওয়ের মৃত্যুর খবরে শোকস্তব্ধ তেলেগু চলচ্চিত্রজগৎ। সহকর্মী, ভক্ত ও রাজনৈতিক নেতারা শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। অভিনেতা বিষ্ণু মানচু এক্সে লিখেছেন, ‘শব্দের ঊর্ধ্বে এক কিংবদন্তি। শ্রীকোটা শ্রীনিবাস গারুর মৃত্যু আমার হৃদয় ভারাক্রান্ত করেছে। একজন অসাধারণ অভিনেতা, বিরল প্রতিভাধর মানুষ; যিনি প্রতিটি চরিত্রকে প্রাণ দিয়েছেন অনন্য দক্ষতায়। আমি তাঁর সঙ্গে অনেক ছবিতে কাজ করেছি, তাঁর অভিনয় দেখে বড় হয়েছি। তাঁর শিল্প, হাসি, আত্মা আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবে। [বাংলা প্রেস বিশ্বব্যাপী মুক্তচিন্তার একটি সংবাদমাধ্যম। স্বাধীনচেতা ব্যক্তিদের জন্য নিরপেক্ষ খবর, বিশ্লেষণ এবং মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজ আগের চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।] বিপি > এস পি’
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন