বাংলাপ্রেস ডেস্ক: দারুণ ব্যস্ত সময় পার করছেন অভিনেত্রী মৌ খান। তিনটি চলচ্চিত্রের শুটিং চলছে, মুক্তির অপেক্ষায় আরো তিনটি। অভিনেত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন সুদীপ কুমার দীপ।
বৃষ্টির দিন, কী করছেন?
আজ (গতকাল) বাসায় আছি।বৃষ্টি উপভোগ করছি। তবে দুই দিন আগেও বৃষ্টির মধ্যে শুটিংয়ে যেতে হয়েছে। ইনডোর শুট থাকায় খুব একটা কষ্ট হয়নি। সন্ধ্যায় ভাবছি খিচুড়ি রান্না করব।আমি আবার রান্না করতে খুব ভালোবাসি। বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন রেসিপি তৈরি চেষ্টাও করি।
‘হঠাৎ বৃষ্টি’র রিমেক ‘আবার হঠাৎ বৃষ্টি’তে অভিনয় করছেন। কোন চরিত্রটি করছেন?
শ্রীলেখা মিত্র দিদি যে চরিত্রটা করেছিলেন আমি সেটাই করছি।আগের ছবিতে চরিত্রটির নাম প্রীতি থাকলেও এবার নাম বদলে সানজানা করা হয়েছে। তবে গল্প একই আছে।
ছবিটির সঙ্গে যুক্ত হলেন কিভাবে?
পরিচালক কামরুজ্জামান ভাইকে আমার কথা বলেছিলেন আরেক পরিচালক তাজু কামরুল ভাই।পরে দুজনে আমার কাছে এলেন। ছবিটি করার প্রস্তাব দিলেন।ছোটবেলায় প্রথম ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ দেখেছিলাম। এরপর আরো কয়েকবার দেখা হয়েছে। অভিনেত্রী হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করার পর ভাবতাম এমন গল্পের যদি একটা ছবিতে কাজ করার সুযোগ পেতাম! অবশেষে সেটা পেলাম।পরিচালককে ধন্যবাদ দিয়েছি আমাকে সুযোগ দেওয়ার জন্য। এই ছবির সঙ্গে আছেন গুণী নির্মাতা ছট্কু আহমেদ স্যার। তিনিও আমাকে সহযোগিতা করেছেন ‘আবার হঠাৎ বৃষ্টি’তে যুক্ত হতে।
মাঝখানে একটি ধারাবাহিকে অভিনয় করেছিলেন...
হ্যাঁ, মাবরুর রশীদ বান্নাহ ভাইয়ের ‘ব্যাডবাজ পোলাপান’ ধারাবাহিকে দুই দিন শুটিং করেছিলাম। পরে মনে হলো নাটকের জন্য আমি প্রস্তুত নই। আরো সময় নেওয়া দরকার। বান্নাহ ভাইকে বুঝিয়ে বললাম। তিনি এখন আমার চরিত্রটি বাদ দিয়ে অন্য অভিনেত্রী নিয়ে শুটিং করছেন।
তাহলে কী নাটক করবেন না?
আরেকটু বুঝতে চাই। আসলে অভিনেত্রী যখন হয়েছি তখন সব মাধ্যমেই তো কাজ করতে হবে। আমার অভিষেক হয়েছিল বড় পর্দায়। বড় অ্যারেজমেন্ট, শুটিংয়ে বড় ইউনিট দেখে অভ্যস্ত। হঠাৎ করে মানিয়ে নিতে পারছি না। বান্নাহ ভাইয়ের ইউনিট কিন্তু বড়ই ছিল। তার পরও কেন জানি হলো না। ধীরে ধীরে এই সেক্টরে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করব।
আর কী কী চলচ্চিত্র করছেন?
জাফর আল মামুন ভাইয়ের ‘চাইল্ড অব দ্য স্টেশন’ ও মোহাম্মদ আসলাম ভাইয়ের ‘তবুও প্রেম দামি’ ছবিতে অভিনয় করছি। ‘চাইল্ড অব দ্য স্টেশন’ ছবিটি সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে। এই ছবিতে আমার সঙ্গে আছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ ভাই। ‘তবুও প্রেম দামি’ ছবিটা রোমান্টিক ঘরানার। আমার সঙ্গে আছেন দেশ ইসলাম। এ ছাড়া মুক্তির অপেক্ষায় আছে ‘বাহাদুরী’, ‘জ্বলছি আমি’, ‘বাংলার হারকিউলিস’, ‘বান্ধব’সহ কয়েকটি ছবি।
আপনি তো বেশ ব্যস্ত তাহলে। এদিকে অনেক শিল্পীর হাতে কাজ নেই। জীবিকা চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। তাঁদের নিয়ে কিছু বলবেন?
খুব খারাপ লাগে। আমিও যে খুব ব্যস্ত তা নয়। দুই বছর আগেও মাসে অন্তত ২০ দিন শুটিং থাকত। বাকি ১০ দিন নতুন নতুন ছবির গল্প, নির্মাতাদের সঙ্গে আলোচনা করতাম। মানে মাসের ৩০ দিনই ব্যস্ততা থাকত। এখন সেটা কমে গেছে অনেকাংশে। ২৮ জুলাই একজন শিল্পীর লাইভ দেখলাম। তিনি একটা সময় কান্না চেপে রাখতে পারলেন না। হাতে কাজ নেই, বাসা ভাড়া দিতে পারছেন না। মাঝখানে এক নির্মাতা ফেসবুকে পোস্ট করেছেন, ৬০ হাজার টাকার জন্য তার মেয়েকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করাতে পারেননি। চোখের সামনে মেয়ের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নষ্ট হতে দেখলে কোন বাবার ভালো লাগে বলেন? এসব দেখে আসলে আমারও কান্না পায়। খুব ইচ্ছা করে সবাই মিলে যদি ভালো থাকতে পারতাম!
এই অবস্থা থেকে বের হয়ে আসার জন্য শিল্পীদের কী করা উচিত?
আমাদের আসলে কর্মক্ষেত্র বাড়াতে হবে। তা ছাড়া প্রযোজকরা এখন আগের মতো লগ্নি করছেন না। তাঁদেরও উৎসাহিত করতে হবে। এখন শুধু ঈদকেন্দ্রিক ছবি হচ্ছে। অভিনেতারাও হাতেগোনা কয়েকজন। এই সিন্ডিকেটও ভাঙতে হবে। নইলে যাঁরা কাজ পাচ্ছেন না, তাঁরা কখনোই আর কাজ পাবেন বলে মনে হয় না।
[বাংলা প্রেস বিশ্বব্যাপী মুক্তচিন্তার একটি সংবাদমাধ্যম। স্বাধীনচেতা ব্যক্তিদের জন্য নিরপেক্ষ খবর, বিশ্লেষণ এবং মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজ আগের চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]
বিপি>টিডি
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]