১৪ অক্টোবর ২০২৫

অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ এবার ১১ জনের শরীরে, ছড়াচ্ছে যেভাবে

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৪০ এএম
অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ এবার ১১ জনের শরীরে, ছড়াচ্ছে যেভাবে

 


বাংলাপ্রেস ডেস্ক: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের বেলকা ইউনিয়নের কিশামত সদর গ্রামে ১১ জনের শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ দেখা দিয়েছে। এদের মধ্যে ৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

জানা গেছে, রোগাক্রান্ত গরুর মাংস কাটাকাটি করায় তাদের শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ দেখা দিয়েছে। খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় অনেকের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

 

কিশামত সদর গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. হাফিজার রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গত সোমবার ওই গ্রামের মাহবুর রহমানের একটি রোগাক্রান্ত গরু স্থানীয়রা জবাই করে মাংস কাটাকাটি করে নিয়ে যান। এতে অন্তত ১১ জন অংশ নেন। চারদিন পর গত বৃহস্পতিবার ওই ১১ জনের শরীরের বিভিন্ন অংশে ফোসকা পড়েছে এবং মাংসে পচন ধরেছে। বিশেষ করে হাত, নাক, মুখ, চোখে এসব উপসর্গ দেখা গেছে।

আক্রান্তদের মধ্যে মোজা মিয়া, মোজাফফর মিয়া, শফিকুল ইসলাম, মাহবুর রহমান বেশি অসুস্থ। তারা গাইবান্ধা রাবেয়া ক্লিনিক অ্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডাক্তার মো. মোজাম্মেল হক বলেন, উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় অ্যানথ্রাক্স রোগের প্রকাপ দেখা দিয়েছে। পৌরসভায় দুটি গরু মারা গেছে। সাহাবাজ এলাকায় অ্যানথ্রাক্সের প্রার্দুভাব দেখা দেয়ায় ওই এলাকায় ইতোমধ্যে টিকা দেয়া হয়েছে। আমাদের মধ্যে ১৩ হাজার টিকা রয়েছে। আমরা আরও চাহিদা পাঠিয়েছি। টিকা পেলে গরু-ছাগলের মধ্যে প্রদান করা হবে। রোগাক্রান্ত গরু-ছাগলের মাংস খেলে মানুষ আক্রান্ত হবে না। তবে আক্রান্ত পশু পরিচর্যা করলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দিবাকর বসাক বলেন, উপজেলার বেলকা ইউনিয়ন থেকে ৪-৫ জন অজ্ঞাত বা অ্যানথ্রাক্স রোগের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে এসেছিল। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গাইবান্ধা এবং রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত গরু-ছাগল পরিচর্যা করলে মানুষের মধ্যে এই রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে পাশের পীরগাছা উপজেলায় গরু ছাগলের মধ্যে অ্যানথ্রাক্স রোগের প্রকোপ দেখা দেয়। এর প্রভাব সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ঘাঘট ও তিস্তা নদীবেষ্টিত এলাকা বামনডাঙ্গা, সর্বানন্দ, তারাপুর, বেলকা, পৌরসভা এলাকায় অ্যানথ্রাক্সের প্রার্দুভাব দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে সর্বানন্দ, বামনডাঙ্গা, তারাপুর ও পৌরসভায় অ্যানথ্রাক্স টিকা দেয়া হয়েছে। অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত পশু পরিচর্যা করলে বা সেই পশু জবাই করে মাংস কাটাকাটি করলে মানুষের মধ্যেও অ্যানথ্রাক্স রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে। সে কারণে অ্যানথ্রাক্স রাগে আক্রান্ত গরু-ছাগল কোনো অবস্থাতেই জবাই করা যাবে না।

 

বিপি/কেজে

[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন