১৩ অক্টোবর ২০২৫

‘প্রেমিকাকে ছেড়ে দাও নয়তো সিনেমা ছাড়ো’, পরিচালকের শর্তে যা করেছিলেন সাইফ

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪২ পিএম
‘প্রেমিকাকে ছেড়ে দাও নয়তো সিনেমা ছাড়ো’, পরিচালকের শর্তে যা করেছিলেন সাইফ
বাংলাপ্রেস ডেস্ক:  বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খানের ক্যারিয়ার শুরুটা সহজ ছিল না। নবাব পরিবারের ছেলে হলেও বেশ স্ট্রাগল করেই নিজের জায়গা তৈরি করেন বলিউডে। বলিউডে তার যাত্রা শুরু হওয়ার কথা ছিল সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে, রাহুল রাওয়ালের সিনেমা ‘বেখুদি’ দিয়ে। যেখানে তার বিপরীতে থাকতেন কাজল।কিন্তু শুটিংয়ের একেবারে প্রথম দিনেই বাদ পড়েন সাইফ। শুরুর দিকেই বেশ দিশেহারা হয়ে যান ছোট নবাব। এরপর যশ চোপড়া পরিচালিত ‘পরম্পরা’ (১৯৯৩) সিনেমার মাধ্যমে তার বলিউডে আনুষ্ঠানিক অভিষেক হয়।এক পুরনো সাক্ষাৎকারে সাইফ জানিয়েছিলেন, শুরুর দিকে তাকে বেশ কিছু অদ্ভুত চাপে পড়তে হয়েছিল।পরিচালকের কাছ থেকে এমনকি প্রেমিকা ছেড়ে দেওয়ার মতো শর্তও শুনতে হয়েছিল। সাইফের ভাষায়, “আমাকে বলা হয়েছিল—‘তোমার প্রেমিকাকে ছেড়ে দাও, নইলে সিনেমা ছাড়ো।’ এটা আমার জন্য নৈতিক এক সিদ্ধান্ত ছিল। আমি প্রত্যাখ্যাত হয়েছি, এটাই ছিল আমার স্ট্রাগল।” তার স্ট্রাগল নিয়ে তিনি আরও বলেন, “লোকেরা ভাবে স্ট্রাগল মানে অটোয় চড়ে ঘুরে ঘুরে অফিসে যাওয়া আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করা। আমার ক্ষেত্রেও প্রত্যাখ্যান ছিল, তবে সেটি অন্যরকম।”সাইফকে ঘিরে প্রথম দিকেই নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ ওঠে, তিনি শুটিং সেটে মাতাল হয়ে যেতেন কিংবা আগ্রহহীনভাবে কাজ করতেন। সে সময়ের এক সাক্ষাৎকারে সাইফ বলেন, “এই অভিযোগগুলো আমাকে আরও পিছিয়ে দেয়।অনেকে মনে করেছিলেন আমি কাজকে গুরুত্ব দিই না। ফলে আরেকটু সময় লেগে যায় নিজের জায়গা তৈরি করতে।”বারবার প্রত্যাখ্যান সত্ত্বেও সাইফ হার মানেননি। ১৯৯৯ সালে মুক্তি পাওয়া ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ বাণিজ্যিকভাবে ব্যাপক সফল হলেও সমালোচকরা তার অভিনয়ের গভীরতা আবিষ্কার করেন মূলত ২০০১ সালের ‘দিল চাহাতা হ্যায়’ দিয়ে। এরপর ২০০৩ সালে ‘কাল হো না হো’-তে তার অভিনয় দর্শক-সমালোচক উভয়ের প্রশংসা কুড়ায়। ২০০৪ সালে ‘হাম তুম’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য তিনি অর্জন করেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। পরে ‘পরিণীতা’, ‘সালাম নামাস্তে’, ‘ওমকারা’, ‘রেস’, ‘লাভ আজকাল’, ‘ককটেল’ একে একে তাকে নিয়ে যায় বলিউডের শীর্ষ সারির অভিনেতাদের কাতারে। [বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।] বিপি>টিডি
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন