
সুলতানা মাসুমা, লক্ষ্মীপুরঃ ইতিহাসের অন্তরেও ইতিহাস থাকে। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা অথচ তার মুক্তিযোদ্ধা সনদ নেই। মোহাম্মদ সিরাজ বেপারী, পিতা-মৃত অনি মীয়া বেপারী, ১ নং ওয়ার্ড ১০নং ইউনিয়ন রায়পুর, লক্ষ্মীপুর। স্বাধীনতা যুদ্ধে সশস্ত্র অংশগ্রহণের জন্য ভারতের বিভিন্ন জায়গায় তিনি ট্রেনিং অংশগ্রহণ করেছেন, ট্রেনিং শেষে ৬০ জনের একটা গ্রুপ বাংলাদেশে এসে ২০জন করে তিন ভাগে বিভক্ত হয়। ২০জন আসলো রায়পুরের কাজির দিঘীরপাড়ের দিকে- ২০জন লক্ষুীপুরে। আর তিনি সহ বাকী ২০জন রামগঞ্জ চাটখিলে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
তিনি রায়পুরে রাজাকারদের হাতে ধরাও পড়েন, এল এম স্কুলে রাজাকার ক্যাম্পে বন্দি ছিলেন সাতদিন, বন্দী থাকাকালিন স্থানান্তরিত হওয়ে লক্ষ্মীপুর, ফেনী, এবং চট্টগ্রামে দীর্ঘদিন বন্দী থেকে চট্টগ্রাম থেকে মুক্তি পেয়ে আবার রায়পুরের এসে যুদ্ধ করেতে ফিরে যান।
জীবিত মুক্তিযোদ্ধাগণও সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে তিনি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন কিন্তু তিনার কোন প্রমান পত্র নাই, উনার মুক্তিযুদ্ধের সদস্য টোকেনটিও হারিয়ে গেছে।
সিরাজ বেপারী নিজ ইউনিয়ন ১০নং ইউনিয়নের বাসিন্দা। বীর মুক্তিযুদ্ধা খোরশেদ আলম সাহেবের বলেছেন সিরাজ বেপারী যেন মুক্তিযোদ্ধা সনদ পায় সে জন্য আমি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
সিরাজ বেপারীর শেষ চাওয়া একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে সনদ আর সম্মানী ভাতা পাই আর না পাই দুঃখ নাই, কারন আমার স্বাধীন দেশে আমি বসবাস করতেছি।
মুক্তিযুদ্ধের সরকারের কাছে আমার একটাই চাওয়া লাল সবুজের পতাকার সম্মানে অধিষ্ঠিত হয়ে কবরে যেন যেতে পারি।
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]