১৪ অক্টোবর ২০২৫

‘পুরুষের পদোন্নতি হলে পরিশ্রমের ফল, নারীদের ক্ষেত্রে শরীরের বিনিময়’

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪১ পিএম
‘পুরুষের পদোন্নতি হলে পরিশ্রমের ফল, নারীদের ক্ষেত্রে শরীরের বিনিময়’
বাংলাপ্রেস ডেস্ক: খোলামেলা কথা বলে প্রায়ই খবরের শিরোনাম হন টলিউড অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি। এবারও বলেলেন, যদি কখনো কোনো পুরুষের পদোন্নতি হয় তবে তা ওই পুরুষের পরিশ্রমের ফল হিসেবে দেখা হয়। অন্যদিকে, নারীর ক্ষেত্রে সেটিকে বলা হয় শরীরের বিনিয়মে অর্জন করা হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটি বলেন তিনি। ‘নিখোঁজ ২’ ওয়েব সিরিজ় নিয়ে কী ভাবেন, এমন প্রশ্নে স্বস্তিকা বলেন, ‘এ বারের ‘নিখোঁজ ২’-এ আগের ঘটনার সমাধান খুঁজে পাবে দর্শক। প্রচুর মানুষ তোমধ্যেই ‘নিখোঁজ ২’ দেখে সরাসরি আমাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে লিখছেন। আমি লেখাগুলো ভাগ করে নিচ্ছি।’ বাংলায় নারীর প্রতিনিয়তই পুলিশের চরিত্র করতে দেখা যায়, এমনও নয়- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ‘নিখোঁজ’-এর পুলিশ কর্মকর্তা চরিত্রে অভিনয় করা অভিনেত্রী বলেন, ‘সেই কারণেই প্রথম থেকেই উত্তেজনা ছিল চরিত্রটা নিয়ে। এখানে পুলিশ শুধুই যে অপরাধ দমন করছে এমন নয়। এই চরিত্রটার মধ্যে পুলিশ ও মা পাশাপাশি চলছে। মায়ের জেদ আর পুলিশের দক্ষতা দুটোই এই চরিত্র দাবি করে। খানিকটা সত্য আর অনুভূতির রেষারেষি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি এই চরিত্রে। পরিচালককে মাঝেমাঝেই বলতাম, মা কোথাও বেশি হয়ে যাচ্ছে না তো! আজও কোথাও কোথাও তো ধরে নেওয়া হয় নারী পুলিশ ততটাও দক্ষ নয় যতটা পুরুষ।’ মানে বর্তমান সময়েও কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গবৈষম্য দেখা যায়?- এ প্রশ্নে স্বস্তিকা বলেন, ‘অবশ্যই। ২০২৫ সালেও কর্মক্ষেত্রে আমাদের নারীদের অধিকার নিয়ে লড়াই করতে হয়। কোনো পুরুষের যদি পদোন্নতি হয়, সে ক্ষেত্রে বলা হয় পরিশ্রমের জোরে যোগ্যতা দিয়ে পদোন্নতি হয়েছে, কিন্তু একজন নারীর ক্ষেত্রে বলা হয়, অনুচিত পন্থায় রফা করেছেন বা তার শরীরের বিনিময়, সৌন্দর্যের নিরিখে পদোন্নতি হয়েছে। সেটা তো রয়েছেই। নারীদের দক্ষতা, কাজের প্রতি অনুরাগ উপেক্ষা করা হয় সর্বতোভাবে।’ আগের তুলনায় একটু কী পরিস্থিতির বদল ঘটেছে- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমাদের সমাজ ও দেশের অবস্থা খুব একটা স্বস্তিদায়ক নয়। আরজি করের ঘটনার পরে মনে হয়েছিল কত কিছু বদলাবে! সম্প্রতি মেট্রো স্টেশনে চুমুর ঘটনাটা নিয়েও তো কত কাণ্ড! মানসিকতার যে কোনো রদবদলই হয়নি তা স্পষ্ট। এই পুরো ঘটনায় দোষী এক জনই, যিনি চুমু খাওয়ার ভিডিও করেছিলেন আর ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। তাকে নিয়ে তো কোনো কথাই হলেঅ না। তার অন্যায়টা নিয়ে কেউ কথা বলল না, উল্টো ভালোবেসে কেউ কিছু করলে সেটা নিয়ে হইচই করা হয়। মেয়েটি চুমু খেয়ে যত অপরাধ করল!’ বিপি/কেজে
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন