১৪ অক্টোবর ২০২৫

সীমান্ত সংঘর্ষে ২৩ পাক সেনা ও ২০০ তালেবান যোদ্ধা নিহত

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:৩৮ এএম
সীমান্ত সংঘর্ষে ২৩ পাক সেনা ও ২০০ তালেবান যোদ্ধা নিহত

বাংলাপ্রেস ডেস্ক:   আফগানিস্তান সীমান্তে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর অভিযানে ২০০ জনেরও বেশি তালেবান ও তাদের মিত্র যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।  এছাড়া এই অভিযানে ২৩ জন পাক সেনাও নিহত হয়েছেন।  খবর সামাটিভির।  

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। 

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শত্রুপক্ষের এই হামলার উদ্দেশ্য ছিল সীমান্ত অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি ও সন্ত্রাস ছড়িয়ে দেওয়া। তবে পাকিস্তানি বাহিনী ‘সময়োপযোগী ও দৃঢ় পদক্ষেপ’ নিয়ে হামলাটি প্রতিহত করেছে এবং তাদের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে। 

এতে আরও বলা হয়েছে, সীমান্তপারের লক্ষ্যবস্তুগুলোর মধ্যে ছিল একাধিক তালেবান পোস্ট, ক্যাম্প ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র।  এসব অভিযানে আফগানিস্তানের ভেতরে থাকা ২১টি ঘাঁটি দখল করে ধ্বংস করা হয়েছে।  এতে  ২০০ জনের বেশি তালেবান যোদ্ধা নিহত এবং অনেকে আহত হয়েছেন। 

পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নিশ্চিত করেছে, তালেবান যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষে ২৩ সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন। আর আহত হয়েছেন আরও ২৯ জন। 

সেনাবাহিনীর মুখপাত্র বলেন, চলমান অভিযানের সময় বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আফগান ভূখণ্ডে অবস্থিত সব সন্ত্রাসী ঘাঁটি ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তানের অভিযান অব্যাহত থাকবে। 

পাশাপাশি, তালেবান সরকারকে সতর্ক করে বলা হয়, যদি তারা সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো নির্মূল না করে, তবে পাকিস্তান আরও বেশি পালটা হামলা চালাবে। 

আইএসপিআর দাবি করেছে, এই হামলা ‘তালেবান সরকার ও ভারতের যোগসাজশে চালানো হয়েছে’। 

মুখপাত্র বলেন, ‘এই উসকানিমূলক ও আঞ্চলিক শান্তির জন্য হুমকিস্বরূ  হামলা যখন হয় তখন আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের সফরে ছিলেন।’

পাকিস্তান সরকার কাবুলের কাছে দাবি জানিয়েছে, তারা যেন অবিলম্বে সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কগুলোকে আশ্রয় ও সহায়তা দেওয়া বন্ধ করে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পাকিস্তান এই অঞ্চলে শান্তি চায়, কিন্তু সন্ত্রাসবাদ কোনোভাবেই সহ্য করবে না।’

বিপি>টিডি

[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন