১৪ অক্টোবর ২০২৫

সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী : অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য ৪০০ কোটি টাকা

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৭ পিএম
সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী : অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য ৪০০ কোটি টাকা

বাংলাপ্রেস অনলাইন : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য বাজেটে ৪০০ কোটি টাকা রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে এই প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বাজেট প্রস্তাব করার সময় আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, অস্বচ্ছল যুদ্ধাহত ও অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধা বা তাদের স্ত্রী, পুত্র ও কন্যা অথবা নাতি-নাতনিদের সহায়তা দেওয়ার জন্য একটি ব্যবস্থা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রস্তুত করছে। এজন্য আগামী বাজেটে প্রায় ৪০০ কোটি টাকার বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

এ ছাড়া অর্থমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা ও উৎসব ভাতার পাশাপাশি বার্ষিক দুই হাজার টাকা হারে বাংলা নববর্ষ ভাতা (বৈশাখী ভাতা) এবং জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিজয় দিবস উপলক্ষে জন প্রতি পাঁচ হাজার টাকা করে বিশেষ সম্মানী ভাতা দেওয়া হবে। বাজেট বক্তৃতায় মুহিত বলেন, আট হাজার অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধার আবাসন সুবিধা দিতে জেলা বা উপজেলায় বহুতল ভবন নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা উন্নয়নের জন্য দেশের সব জেলা বা উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। এ পর্যন্ত ৫৭টি জেলায় ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা দেশের সব সরকারি হাসপাতালে ও ১৬টি বিশেষায়িত হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধাদের বিনা খরচে চিকিৎসাসেবা প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছি। আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ভূমিহীন ও অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের বাসস্থান নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় দুই হাজার ৮৫২টি ইউনিট নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। আরো ১১৯টি ইউনিট নির্মাণাধীন আছে। অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সঠিকভাবে তুলে ধরা ও তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সৃষ্টির লক্ষ্যে সব জেলা-উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর-কাম-লাইব্রেরি নির্মাণ করা হচ্ছে।

[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন