১৪ অক্টোবর ২০২৫

সনুর টুইট যুদ্ধে উত্তপ্ত নেটদুনিয়া

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম
সনুর টুইট যুদ্ধে উত্তপ্ত নেটদুনিয়া

বিনোদন ডেস্ক, ঢাকা : মাসকয়েক আগেই বি-টাউনে আছড়ে পড়েছিল #MeToo ঝড়৷ সেই তালিকায় নাম জড়িয়েছিল সংগীত পরিচালক অনু মালিকের৷ গায়িকা সোনা মহাপাত্র এনেছিলেন এহেন অভিযোগ৷ অনুর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন সোনু নিগম৷ টুইটে তাঁর বিরোধিতা করেন গায়িকা৷ বৃহস্পতিবার পালটা টুইটে সোনাকে তোপ দাগলেন সোনু৷ আপাতত সোনা এবং সোনুর টুইট যুদ্ধে উত্তপ্ত নেটদুনিয়া৷

২০০৬ সালের অক্টোবরের একটি ঘটনার কথা তুলে মাসখানেক আগে শিরোনামে চলে আসেন সোনা মহাপাত্র৷ জানান, ২০০৬ সালে অনু মালিকের সঙ্গে দেখা হয় তাঁর৷ বাড়িতে আসার জন্য নিমন্ত্রণও করেন৷ অভিযোগ করেন, এরপর থেকেই বিভিন্ন সময়ে অনু ফোন করতেন তাঁকে৷ এমনকী, ফোনে নানা অশ্লীল মন্তব্যও করতেন তিনি৷ দিয়েছেন নানা কুপ্রস্তাবও৷ তারপর থেকেই অনুর সঙ্গে তিনি সম্পর্ক রাখা বন্ধ করে দেন৷ অনু মালিকের বিরুদ্ধে ওঠা এহেন অভিযোগ ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় বি-টাউনে৷ অনু মালিকের বিরুদ্ধে একের পর এক যৌন হেনস্তার অভিযোগ উঠতে থাকে৷ ‘ইন্ডিয়ান আইডল ১০’ থেকেও বাদ দিয়ে দেওয়া হয় অনু মালিককে৷

এহেন অভিযোগ সামনে আসার পর অনু মালিকের পাশ থেকে সরে দাঁড়ায় গোটা বলিউড৷ এমতাবস্থায় তাঁর পাশে দাঁড়ান সোনু নিগম৷ ‘যৌন হেনস্তাকারী’-র সমর্থনকে যদিও ভাল চোখে দেখেননি অভিযোগকারী গায়িকা৷ পালটা প্রতিক্রিয়া দিতে ছাড়েননি সোনু নিগম৷ টুইটে তিনি লেখেন,‘‘ভদ্রমহিলা টুইটারে বমি করেছেন৷ সোনা এমন একজনের স্ত্রী, যিনি আমার খুব কাছের৷ তাঁকে বলব কাকে কি বলছেন ভেবে বলুন৷ ভারতীয় ইতিহাসে দেখা গিয়েছে মহিলারা অনেক ভাল কাজ করেছেন৷ কিন্তু বর্তমান যুগের মহিলাদের এহেন আচরণে আমি লজ্জিত৷’’ অনু মালিকের বিরুদ্ধে যে বা যাঁরা এহেন অভিযোগ এনেছেন, তাঁরা কার্যত নিম্ন মানসিকতার মানুষ ছাড়া আর কিছুই নন বলেও টুইটে ক্ষোভ উগরে দেন সোনু৷

সোনুর এই টুইটে যদিও বেজায় চটেছেন সোনা মহাপাত্র৷ সোনুর মন্তব্যের প্রত্যুত্তরে পালটা মুখ খোলেন তিনি৷ ঘনিষ্ঠ মহলে সোনা বলেন, ‘‘আমার পরিচিতি শুধুমাত্র কারও স্ত্রী নয়৷’’ যে বা যাঁরা অনু মালিকের পাশে রয়েছেন, তাঁদের মানসিকতা একরকম বলেও তোপ দাগেন গায়িকা৷

বিপি/মিম

[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন