১৪ অক্টোবর ২০২৫

সৈয়দপুরে বাড়ীতে হামলা ও মালামাল লুট ইউএনও’র ঘটনাস্থল পরিদর্শন

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৭ পিএম
সৈয়দপুরে বাড়ীতে হামলা ও মালামাল লুট ইউএনও’র ঘটনাস্থল পরিদর্শন

এম আর আলী টুটুল, সৈয়দপুর (নীলফামারী) সৈয়দপুর : নীলফামারীর সৈয়দপুরে পূর্বের ঘটনার জের ধরে এক বাড়ীতে হামলা ও মালামাল লুটের অভিযোগ উঠেছে। ৮ জুন দিবাগত রাত ২টায় পুলিশের উপস্থিতে এ ঘটনা ঘটে। সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর টইল্লা পাড়া (সরকারপাড়া) গ্রামের আশরাফ আলীর মেয়ে রুহিয়ার সাথে ৩ বছর আগে বিয়ে হয় নতুন বাবুপাড়া এলাকার আবু হাসান মাহমুদ (বাবু) এর সাথে। তার আগে রুহিয়ার ভাই আসাদুলের সাথে বিয়ে হয় বাবুর খালাতো বোন রেনুর সাথে। বাবু তার স্ত্রী, বোন, জামাইসহ একই বাড়ীতে বসবাস করে আসছে। মাঝে মধ্যে পরিবারের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকত। আসাদুলের স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হলে তার স্ত্রী বাপের বাড়ীতে চলে আসত। অপরদিকে একই দিনে বাবুর স্ত্রী রুহিয়াও তার পিত্রালয়ে চলে যেত। উভয় পরিবারের মধ্যে দাবী ছিল স্বামী কর্তৃক স্ত্রী নির্যাতনের। এর মধ্যে গত ৩০ মে রেনুর সাথে স্বামী, দেবরের ঝগড়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রেনু ভাইয়ের বাসায় চলে যায়। সেখানে ঘটনা শুনে বাবু রুহিয়ার উপর নির্যাতন শুরু করে। নির্যাতনের এক পর্যায়ে রুহিয়া তার পিত্রালয়ে পালিয়ে আসে। ওই দিন রাতে বাবু ও তার লোকজন নিয়ে রুহিয়ার পিতার বাড়ীতে গিয়ে রুহিয়াকে খোঁজাখুজি করে। সেখানে রুহিয়াকে নির্যাতন শুরু করলে পরিবারসহ আশে পাশের লোকজন বাবুসহ ৩জনকে আটকিয়ে রাখে এবং মারডাং করে।

ওই দিন রাতেই সৈয়দপুর থানা পুলিশ ও কামাপুকুর ইউপি চেয়ারম্যান তাদের উদ্ধার করে। এ ঘটনায় দুই পুত্রবধু দুই পিত্রালয়ে অবস্থান করছেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ঘটনাটি মিমাংসার আলোচনা চলছিল। কিন্তু এ ঘটনার জের ধরে ৮ জুন রাত ২টায় পুলিশ ও নতুন বাবুপাড়া এলাকার আবু হাসান মাহমুদ বাবু, মিলন, মহসীন, লেবু, টিপু সহ অজ্ঞাত ১০/১২জন বাড়ীর দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে।বাড়ীতে ঢুকে তারা ৫টি ঘরের দরজা ভেঙ্গে মালামাল ভাংচুর ও লুটপাত করে। সময় মোক্তার, মতিয়ার, মানিক, জুয়েল, জনি, আলেয়া ও নুরফাকে বেদম মারপিট করা হয়। পুলিশের সামনেই এ ঘটনা ঘটে। উল্লেখিত ব্যক্তিরা ঘরে রাখা গরু বিক্রি করা নগদ ৭০ হাজার টাকা ৩ ভরি স্বর্ণালংকার ও ৪টি মোবাইল সেট নিয়ে যায়।

ঘটনার সময় পরিবার ও আশেপাশের লোকজন ডাকাতি বলে চিৎকার করলে কয়েকটি গ্রামের শতাধিক লোক এগিয়ে আসলে পুলিশ ও হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। আহত ও অভিযোগকারী মোক্তার জানান, পুলিশসহ উল্লেখিত  ব্যক্তিরা বাড়ীতে ঢুকে হামলা ও ভাংচুর চালায়। যেই বাধা দেয় তাকেই বেধরক পিটুনি দেয়। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানালে ৯ জুন দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এ  ঘটনার তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন।

[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন