১৪ অক্টোবর ২০২৫

সোনার বার কেন আয়তাকার বা বিস্কুট আকৃতির হয়?

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৪৭ পিএম
সোনার বার কেন আয়তাকার বা বিস্কুট আকৃতির হয়?

বাংলাপ্রেস ডেস্ক:   নারীদের স্বর্ণের অলংকারের প্রতি একটি বিশেষ আকর্ষণ থাকে। এজন্য দেশের মানুষের বিশাল একটা অংশের নজর থাকে স্বর্ণের দামের প্রতি। কিন্তু শুধু ডিজাইন দেখে গহনা কিনলেই হয় না, তার গুণমান সম্পর্কেও সচেতন থাকা দরকার। কারণ স্বর্ণ হলো আজীবনের বিনিয়োগ। 

 

এদিকে ক্রমাগত স্বর্ণের দাম বেড়ে চলছে। শুধু অলংকার হিসেবেই নয়, বিপদের সময়ে ত্রাতা হয়ে উঠতে পারে এ স্বর্ণ। তবে এখন দোকানে গেলে গহনা বিক্রেতারা নানা ধরনের স্বর্ণের গহনা দেখান। ১৪ ক্যারেট, ১৮ ক্যারেট, ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের গহনা রয়েছে। তবে এ ক্যারেটের মধ্যে একটা পার্থক্য রয়েছে।  সব থেকে বিশুদ্ধ সোনা হলো ২৪ ক্যারেটের। এটি নিখাদ সোনা হয়। তবে ২৪ ক্যারেটের সোনা দিয়ে গহনা তৈরি করা যায় না। সোনার গহনা তৈরি হয় ২২ ক্যারেটের সোনা দিয়ে। এছাড়া বর্তমানে ১৮ ও ১৪ ক্যারেটের সোনা দিয়েও গহনা তৈরি হয়।  ২২ ক্যারেটের স্বর্ণ উজ্জ্বল সোনালি রঙের হয়। ১৮ ক্যারেটের সোনা কিছুটা কম উজ্জ্বল হয়। ১৪ ক্যারেটের স্বর্ণের রঙ কিছুটা লালচে বা গোলাপি রঙের হয়। 

তবে এর মধ্যে আরেকটি কথা থেকে যায়, স্বর্ণের বারগুলি আয়তক্ষেত্রাকার, কখনো কখনো বিস্কুট হিসেবেও পরিচিত হয়। এর কারণ কি? 

আয়তাকার বা বিস্কুট আকৃতির কারণ

• সহজ উৎপাদন: স্বর্ণ গলিয়ে ঢালাই করার জন্য আয়তাকার বা বিস্কুটের ছাঁচ ব্যবহার করা সহজ এবং এতে কম খরচ হয়।

• সুবিধাজনক পরিবহণ ও মজুত: এই আকৃতির কারণে স্বর্ণ পরিবহন ও মজুত করা সহজ হয়। এটি কম জায়গা নেয় এবং একে অপরের ওপর স্তুপ করে রাখা যায়, যা ব্যাংকিং বা অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রাখার জন্য সুবিধাজনক।

• সঠিক ওজন ও পরিমাপ: একটি নির্দিষ্ট ওজনের বার তৈরি করার জন্য এই আকারটি আদর্শ। এটি বিনিয়োগকারীদের জন্য স্বর্ণের সঠিক পরিমাণ যাচাই করা সহজ করে তোলে, যা বিনিয়োগের নিরাপত্তা ও নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করে।

• আন্তর্জাতিক মান: আন্তর্জাতিকভাবে লেনদেনের জন্য আয়তাকার বার একটি আদর্শ আকার। এই আকারের বারগুলো সাধারণত একটি নির্দিষ্ট ওজনের হয় এবং এটি আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। 


বিপি>টিডি

[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন