১৪ অক্টোবর ২০২৫

শুধু ব্লাউজের বোতাম খুললে সাহসী হয় না : স্বস্তিকা

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম
শুধু ব্লাউজের বোতাম খুললে সাহসী হয় না : স্বস্তিকা

বিনোদন ডেস্ক, ঢাকা : বিস্ফোরক স্বস্তিকা।পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের 'শাহজাহান রিজেন্সি' নিয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রেম, প্রাক্তন প্রেমিক আর নিজের উত্তরণের কথা বললেন তিনি।

আসলে ছবিটা দেখলে বিষয়টা বোঝা যাবে।আমি কোনওদিন নিজেকে রিপিট করব না। এটা আগেও বলেছি।'শাহজাহান রিজেন্সি'-র চিত্রনাট্যটা যখন সৃজিত পড়ে শোনায়, খুব ভাল লেগেছিল। কমলিনীর চরিত্র শুনে মনে হয়েছিল সারা জীবনে একজন অভিনেত্রী এমন চরিত্র আর নাও পেতে পারে!অদ্ভুত একটা জৌলুস আছে। আর আছে বেদনা। অভিনয়ের দিক থেকে খুব শক্ত চরিত্র।

আমরা ভাবি একজন হস্টেস কেবল দেহ বিক্রিই করে। একজন হস্টেস তার ক্লায়েন্টকে সেক্সুয়ালি এন্টারটেন করা ছাড়া আর কী করবে? এটা ভুল।ছবিতে কমলিনীর কাছে লোকে মগজের জন্য আসে।কমলিনীর ক্ষেত্রে সেক্সুয়াল অরগ্যাজমের সঙ্গে সঙ্গে ইন্টেলেকচুয়াল অরগ্যাজম খুব গুরুত্বপূর্ণ। লোকে সে জন্যও আসে ওর কাছে। ওর অসম্ভব পড়াশোনা আছে। নেরুদা থেকে স্টকমার্কেটের বিষয়, খেলোয়াড়দের নাম...যে কোনোও আলোচনায় কমলিনী মেধার উজ্জ্বল মুখ। ওর ইমোশনাল গ্রাফটা পুরো পয়েন্টেড।কখনও পাঁচ তো কখনোও নব্বই। ভীষণ ডিগনিফায়েড চরিত্র।

আমি তো আগেই বললাম। চিত্রনাট্য খুব জোরালো। এত লেয়ারড চরিত্র। কিছু রেখে দিলাম। কিছু ঢেকে রাখলাম এমন চরিত্র নয়। সৃজিত মুখোপাধ্যায় না হয়ে অন্য কোনোও পরিচালক এই চরিত্রটা দিলেও আমি কাজটা করতাম। কাজটা করার পর নিজেরই এত ভাল লেগেছে! টেকনিশিয়ানদের মধ্যে অনেকে এই ছবিটা দেখে বেশ কয়েক জন বলেছে কমলিনীর জন্য তাঁদের কষ্ট হয়েছে। এমন সব দৃশ্য আছে... পারফরমার হিসেবে আমি তৃপ্ত!

এটা দেখার জন্য ছবিটা দেখতে হবে। আমি সৃজিত, ওর ইউনিটের লোক সকলেই ভাবতাম এরকম একজন মহিলার পরিণতি এত মর্মান্তিক কেন হবে? আসলে এখানে খুব গুরুত্বপূর্ণ কথা বলতে চাই। আমরা সব সময় বলি যারা আত্মহত্যা করে তারা কাপুরুষ। ভীতু। এ সব বড় বড় ডায়লগ বলে কোনও লাভ নেই। মানুষ এমন এক মানসিক পরিস্থিতিতে পৌঁছয়, এমন যন্ত্রণা পায়, যে সেই মুহূর্তে সুইসাইড করে। কেউ এক মাস ধরে প্ল্যান করে মরে না। আর যারা প্ল্যান করে তারা কোনওদিন মরে না। আমি এই বিষয়টা নিয়ে পড়াশুনা করেছি বলেই বলছি, যারা গায়ে আগুন দিয়ে মৃত্যু চায় তারা আগুন লাগার পর মুহূর্তেই কিন্তু দরজা খুলে বেরোতে চায়। আবার বাঁচতে চায়। কে বলবে? এই মুহূর্তের বদলে সব শেষ হয়ে যায়! রিগ্রেট করার সময় ও পায় না। কমলিনীও জীবনে লড়াই করতে করতে একদিন তো ক্লান্ত হবে?

বিপ/আর এল

[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন