১৪ অক্টোবর ২০২৫

সুস্থ চুল পেতে নিয়মিত যেসব নিয়ম মেনে চলা জরুরি

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪২ পিএম
সুস্থ চুল পেতে নিয়মিত যেসব নিয়ম মেনে চলা জরুরি
বাংলাপ্রেস ডেস্ক:  চুল আমাদের দৈনন্দিন রূপচর্চার গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। চুল ছোট হোক বা লম্বা, সোজা হোক বা কোঁকড়ানো—সব ধরনের চুলই সুস্থ, পরিষ্কার ও পরিপাটি রাখার প্রয়োজন আছে। অনেকেই ভাবেন সুন্দর, সুস্থ চুল শুধু জিনগত বা ব্যয়বহুল পণ্যের ফল। কিন্তু সত্যি হলো, নিয়মিত যত্ন আর সঠিক অভ্যাসই চুলকে সুন্দর ও প্রাণবন্ত করে তোলে।আবু হুরাইরাহ (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছে, যার মাথায় চুল আছে সে যেন এর যত্ন নেয়। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নম্বর-৪১৬৩) চুল ক্ষতিগ্রস্ত থাকলেও হতাশ হওয়ার কিছু নেই। একটু সচেতনতা আর কিছু সহজ নিয়ম মেনে চললেই চুল ফিরে পেতে পারে তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। চলুন, জেনে নিই ১৩টি সহজ কিন্তু কার্যকর ধাপ, যা নিয়মিত মেনে চলতে পারলে আপনার চুল ধীরে ধীরে হয়ে উঠবে আরো মসৃণ, ঝলমলে আর সুস্থ। চুল কম ধোয়া জরুরি প্রতিদিন শ্যাম্পু করলে চুলের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এতে চুল রুক্ষ ও প্রাণহীন দেখাতে পারে। সপ্তাহে ২-৩ বার চুল ধোয়া বেশির ভাগ চুলের জন্য যথেষ্ট। সঠিক নিয়মে কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে কন্ডিশনার সব সময় চুলের মাঝখান ও প্রান্তে লাগাতে হবে, মাথার ত্বকে নয়।যদি মাথার ত্বক শুকিয়ে যায় বা ফ্লেক্স দেখা যায়, তবে স্ক্যাল্পে হালকা করে হাইড্রেটিং পণ্য ব্যবহার করা যেতে পারে। হেয়ার মাস্ক ব্যবহার  সপ্তাহে অন্তত একবার হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করা জরুরি। এটি চুলকে গভীর থেকে কোমল করে, মজবুত ও উজ্জ্বল রাখে। তাপ ব্যবহার করলে চুল রক্ষা করা জরুরি ব্লো ড্রাই, স্ট্রেইনার বা কার্লার ব্যবহার কমাতে হবে। ব্যবহার করলে অবশ্যই আগে হিট প্রটেকশন স্প্রে করতে হবে চুলে। কেমিক্যাল প্রসেসিং কমাতে হবে ডাই, পার্ম বা ব্লিচ করলে চুলের ক্ষতি হতে পারে। যদি একান্তই করতে হয়, তবে তখন চুলে্র বেশি যত্ন নেওয়া জরুরি। ময়েশ্চারাইজিং মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। রোদ থেকে চুল রক্ষা করতে হবে রোদে বের হলে টুপি বা ওড়না পরে চুলকে ঢেকে রাখলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি চুলের কম ক্ষতি করতে পারে। গোসলের আগে চুলের জট খুলে ফেলতে হবে গোসলের আগে আঙুল বা চিরুনি দিয়ে চুলের জট আলগা করে নেওয়া জরুরি। এতে চুল পড়ার সম্ভাবনা কমে। ভেজা চুলে চিরুনির কম ব্যবহার ভেজা চুল নরম থাকে, তাই ভাঙার ঝুঁকি বেশি। যদি আঁচড়াতে হয়, তবে মোটা দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করা ভালো। তোয়ালে দিয়ে চুল না ঘষাই ভালো চুল তোয়ালে দিয়ে ঘষলে ভাঙে। বরং তোয়ালে বা টি-শার্ট দিয়ে চুল মুড়িয়ে রেখে বা হালকা চেপে পানি শুষে নিতে হবে। ঘুমানোর সময় চুল বাঁধা ঘুমাতে যাওয়ার আগে চুল বেঁধে রাখলে চুল পড়ার সম্ভাবনা কমে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, অতিরিক্ত টাইট করে যেন চুল বাঁধা না হয়। এ ছাড়া সিল্কের বালিশে ঘুমালে চুল ভালো থাকে। নিয়মিত চুল কাটা ছোট চুল হলে ৩-৭ সপ্তাহে, মাঝারি ও কোঁকড়ানো চুল হলে ৮-১২ সপ্তাহে, আর লম্বা চুল হলে অন্তত ১২ সপ্তাহে একবার চুল কাটা ভালো। পুষ্টিকর খাবার খাও এবং পানি পান করো চুল সুস্থ রাখতে প্রোটিন, ভিটামিন বি, ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড এবং প্রচুর পানি পান করা জরুরি। ভেতর থেকে যত্ন নিলে বাইরের চুলও ভালো থাকবে। [বাংলা প্রেস বিশ্বব্যাপী মুক্তচিন্তার একটি সংবাদমাধ্যম। স্বাধীনচেতা ব্যক্তিদের জন্য নিরপেক্ষ খবর, বিশ্লেষণ এবং মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজ আগের চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।] বিপি>টিডি
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন