১৪ অক্টোবর ২০২৫

'স্বজনপোষণ' নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রীতি জিন্টা

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম
'স্বজনপোষণ' নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রীতি জিন্টা

বাংলাপ্রেস ডেস্ক, ঢাকা : বলিউডে এখন যে বিষয়গুলি নিয়ে সবচেয়ে বেশি চর্চা হয়, তার মধ্যে স্বজনপোষণ অন্যতম। একাধিক অভিনেতা ও অভিনেত্রীরা এই নিয়ে আগে মুখ খুলেছেন। এবার সেই তালিকায় নবতম সংযোজন প্রীতি জিন্টা। তিনি বলেছেন, বলিউডে স্বজনপোষণ আছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে বাইরে থেকে এসে কেউ জায়গা তৈরি করতে পারেনি। এমন উদারহণও প্রচুর রয়েছে।

অভিনেত্রী বলেছেন, তিনি নিজেই তো এর জলজ্যান্ত উদাহরণ। তাঁর কস্মিনকালেও কোনও বলিউডি যোগ ছিল না। তাঁর পরিবারের কেউও অভিনয় জগতে নেই। কিন্তু তিনি তো বলিউডে নিজের প্ল্যাটফর্ম করে নিতে পেরেছেন। “বাবা-মা সন্তানদের কেরিয়ার তৈরিতে সাহায্য করেন, এই ধারণা এখন পুরনো হয়ে গিয়েছে। স্বজনপোষণ ইন্ডাস্ট্রিতে আছে। কিন্তু শাহরুখ খান, অক্ষয় কুমার, ঐশ্বর্য রাই বচ্চন, দীপিকা পাড়ুকোনের মতো তারকারাও আছেন। এঁরা ইন্ডাস্ট্রিতে বাইরে থেকে এসেছেন। আর আজ এঁরা সুপারস্টার। স্বজনপোষণ তো থাকবেই। কেউ এটা বদলাতে পারবে না। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিতে যার নিজেকে প্রমাণ করার খিদে আছে, তাকে কেউ দমাতে পারবে না।” বলছেন প্রীতি। অভিনেত্রী আরও বলেছেন, তাঁর সিনেমা সম্পর্কে কোনও জ্ঞান ছিল না। বলিউডে তিনি নিজের জায়গা বানিয়েছেন কঠোর পরিশ্রম আর প্রতিভার জোরে। কখনও ভাবেননি তিনি একজন বড় স্টার হতে পারবেন। তিনি এখনও তা ভাবেন না।

সম্প্রতি #MeToo প্রসঙ্গে করা মন্তব্য নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন প্রীতি জিন্টা। একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তিনি কখনও ইন্ডাস্ট্রিতে শ্লীলতাহানির শিকার হননি। এমন ঘটনা ঘটলে হয়তো তিনি এই বিষয়ে আরও কিছু বলতে পারতেন। বিতর্ক আরও উসকে দিয়ে প্রীতি বলেন, “মানুষ তোমার সঙ্গে তেমন ব্যবহারই করবে, যেমন ব্যবহার তুমি করতে দেবে।” কিন্তু এই ভিডিওটি যখন সামনে আসতেই বিষয়টি অস্বীকার করেন প্রীতি। বলেন, এমন কোনও কথা তিনি বলেননি। তাঁর সাক্ষাৎকারটি বিকৃত করা হয়েছে। এর জন্য সরাসরি সাংবাদিকের দিকে আঙুলও তোলেন অভিনেত্রী। জানান, তাঁর সাক্ষাৎকার এভাবে বিকৃত করায় তিনি বেশ হতাশ। তবে ব্যাপারটি সেখানেই ধামাচাপা পড়ে যায়।

বাংলাপ্রেস/আর এল

[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন