বাংলাপ্রেস ডেস্ক: ভারতে মুক্তি পাচ্ছে না পাকিস্তানি অভিনেতা ফাওয়াদ খান ও বলিউডের বাণী কাপুর অভিনীত ‘আবির গুলাল’ ছবিটি। ১২ সেপ্টেম্বর ভারত ছাড়া মুক্তি পেয়েছে বিশ্বের নানাপ্রান্তে। বহু বিতর্ক, রাজনৈতিক উত্তাপ ও সীমান্ত-সংবেদনশীলতার ছায়ায় ঢাকা এই ছবি আদৌ ভারতে মুক্তি পাবে তো?
এদিকে মোদি সরকার জানিয়ে দিল ভারতে এই ছবির মুক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা তোলা হচ্ছে না। প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর (পিআইবি) তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই ছবি ভারতে মুক্তি পাচ্ছে না।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারতে এই ছবি মুক্তির খবর ছড়ায় ঠিকই। কিন্তু খবরটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। গত ৯ মে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ফাওয়াদ ও বাণী কাপুর অভিনীত এই ছবি। কিন্তু তার কিছু দিন আগেই ঘটে যায় পেহেলগাম হত্যাকাণ্ড। ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্কে অবনতি হয়। কোপ পড়ে ‘আবির গুলাল’ ছবির উপরেও। আটকে যায় মুক্তি। পেহেলগামের ঘটনার পর ভারত সরকার পাকিস্তানি শিল্পীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এই ছবি যাতে কোনোভাবেই ভারতে মুক্তি না পায়, সেই দাবি তোলে ভারতের বিভিন্ন সংগঠন। এমনকি ছবির নায়িকা বাণীকেও তোপ দাগা হয় পাক অভিনেতার সঙ্গে জুটি বাঁধার জন্য।
অবশেষে স্থির হয় আন্তর্জাতিক স্তরে ছবিটি মুক্তি পাবে। সেইমতো ১২ সেপ্টেম্বর ছবিটি আন্তর্জাতিক স্তরে মুক্তি পায়।
শুক্রবার খবর ছড়ায়, ভারতে নাকি ২৬ সেপ্টেম্বর এই ছবি মুক্তি পাবে। কিন্তু এই খবর ভিত্তিহীন বলে জানা গিয়েছে। ভারতীয় সেনার ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর বিরুদ্ধে ফাওয়াদ খানের একটি পোস্টে বিতর্কের আগুন জ্বলে ওঠে। তিনি সেই অভিযানকে ‘লজ্জাজনক হামলা’ বলে অভিহিত করেন, যা ভারতীয় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। তার এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে শুরু হয় ব্যাপক ট্রোলিং এবং রাজনৈতিক মহলে তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়তে থাকে। এই বিতর্কই ‘আবির গুলাল’-এর ভারতীয় মুক্তির পথে সবচেয়ে বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। উরির সেনাঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলার পরে সেবারও নিষিদ্ধ হয়েছিলেন পাক শিল্পীরা।
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]
বিপি>টিডি
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]