Home বাংলাদেশ শিগগিরই ভারত থেকে পার্বতীপুরে পাইপলাইনে তেল আসবে

শিগগিরই ভারত থেকে পার্বতীপুরে পাইপলাইনে তেল আসবে

বাংলাপ্রেস ডেস্ক: কম খরচে ভারত থেকে সরাসরি জ্বালানি তেল আমদানির জন্য বসানো হয়েছে পাইপলাইন। কয়েক দিনের মধ্যেই এই পাইপলাইনে ডিজেল সরবরাহ শুরু হবে।

বাংলাদেশে বছরে পরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা প্রায় ৬০ লাখ টন। এর মধ্যে ৪৬ লাখ টন ডিজেল, যার ৮০ শতাংশই সরাসরি আমদানি করা হয়। বাকি তেল স্থানীয় পরিশোধনাগারে পরিশোধন করে ব্যবহার করা হয়।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) ভারতের নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠান থেকে ডিজেল আমদানি করছে। ২০১৭ সাল থেকে ট্রেনের ওয়াগনে করে আসছে তেল। বছরে এর পরিমাণ ৮০ থেকে ৮৫ হাজার টনের বেশি নয়। এ রিফাইনারি থেকে তেল আনার পরিমাণ বাড়াতে দুই দেশের মধ্যে তৈরি করা হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইন। বিপিসির কর্মকর্তারা বলেছেন, ওয়াগনে করে ডিজেল আনতে গেলে পরিবহন খরচ বেশি পড়ে। এ ছাড়া অপচয়ের ঝুঁকি বাড়ে। পাইপলাইনে আনা হলে তা সাশ্রয়ী হবে। তবে প্রতি লিটারে ঠিক কতটা সাশ্রয় হবে, তা এখনই বলতে পারছে না প্রকল্প কর্তৃপক্ষ।

বছরে ১০ লাখ টন ডিজেল আমদানি করা যাবে এ পাইপলাইন দিয়ে। প্রাথমিকভাবে বছরে দুই থেকে তিন লাখ টন ডিজেল আনার পরিকল্পনা করছে বিপিসি। এরপর খরচ ও চাহিদা বুঝে আমদানি বাড়ানো হবে। চুক্তি অনুসারে সরবরাহ শুরুর পর ১৫ বছর পর্যন্ত এ পাইপলাইন দিয়ে ভারত থেকে ডিজেল নেবে বিপিসি। শিলিগুড়ি টার্মিনাল থেকে দিনাজপুরের পার্বতীপুর পর্যন্ত ১৩০ কিলোমিটার মৈত্রী পাইপলাইনে শুরু হবে পরীক্ষামূলক সরবরাহ

বিপিসির চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ জানান, আগামী তিন থেকে চার দিনের মধ্যেই মৈত্রী পাইপলাইন দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে ডিজেল সরবরাহ শুরু হবে। সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ। ১৮ মার্চ এটি উদ্বোধনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পাইপলাইনের কাজ উদ্বোধন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ১৮ মার্চ দুই প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ পাইপলাইন উদ্বোধনের কথা রয়েছে।

২০২০ সালের মার্চে এই পাইপলাইনের কাজ শুরু হয়। তবে ২০২২ সালের জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে কাজের গতি কমে যায়। এতে প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে আগামী জুন পর্যন্ত করা হয়।

ভারতের নুমালিগড় রিফাইনারি ও বিপিসির অধীনস্থ কোম্পানি মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড যৌথভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। পূর্ব ভারতের নুমালিগড় থেকে শিলিগুড়ি রেল টার্মিনাল পর্যন্ত ৬০ কিলোমিটার পাইপলাইন আছে আগে থেকেই। শিলিগুড়ি টার্মিনাল থেকে দিনাজপুরের পার্বতীপুর পর্যন্ত ১৩০ কিলোমিটার পাইপলাইন তৈরি করা হয়েছে নতুন করে। এ প্রকল্পে ভারত সরকার ৩০৩ কোটি টাকা ও বিপিসি ২১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।

যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়া থেকে কম দামে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি বাড়িয়েছে ভারত। তাই ভারত চাইলে তুলনামূলক কম দামে বাংলাদেশকে ডিজেল সরবরাহ করতে পারবে। তবে প্রকল্পে কিছু কাজ বাকি আছে। তেল সংরক্ষণের জন্য নতুন ডিপো এখনো তৈরি হয়নি। ২৯ হাজার টন তেল মজুত করার জন্য এই ডিপো তৈরি করা হচ্ছে। আপাতত পুরোনো ডিপোতে মজুত করা হবে। সেখানে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টন তেল মজুত করা যাবে।

বিপি>আর এল

You may also like

Leave a Comment

কানেকটিকাট, যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত বৃহত্তম বাংলা অনলাইন সংবাদপত্র

ফোন: +১-৮৬০-৯৭০-৭৫৭৫   ইমেইল: [email protected]
স্বত্ব © ২০১৫-২০২৩ বাংলা প্রেস | সম্পাদক ও প্রকাশক: ছাবেদ সাথী