সুলতানা মাসুমা,লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি: একদিকে তীব্র গরম,আরেকদিকে অসহনীয় লোডশেডিং। চলমান ভয়াবহ তাপদাহে অস্থির হয়ে উঠেছে লক্ষ্মীপুরের মানুষ। বেশি ঝুঁকিতে আছে শিশু ও বয়স্করা। রোগ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেও গরমের কারনে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েই বাড়ি ফিরেছেন অনেকেই।
শুক্রবার থেকে লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন প্রান্তে এখন দিনে গড়ে ২-৩ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। জেলায় এখন চাহদিা রয়েছে ১২৮ মেগাওয়াট বিপরীতে পাওয়া যাচ্ছে ৪২ মেগাওয়াট। চাহিদা যোগানের ঘাটতি ৮৬ মেগাওয়াট। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে বিদ্যুৎ না থাকায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। বাড়ছে লোডশেডিং।
জেলা শহরের চেয়ে গ্রামাঞ্চলের অবস্থা বেশি খারাপ। এর মধ্যে ৫ থেকে ৮ জুন পর্যন্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও ছুটিতে তীব্র গরমের সঙ্গে লোডশেডিং ঘেমে অস্থির হয়ে স্বস্তি পেতে, পুকুরে নেমেছে, বলছে শিশু শিক্ষার্থীরা।
সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় লোডশেডিং করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। এর ফলে ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন। আর এ অবস্থায় বাজারে দোকান খুলে বসে থাকলে নেই ক্রেতা।
সোমবার লক্ষ্মীপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড থাকে। এর মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে। রোগ নিয়ে গাদাগাদি করে দাড়িয়ে লাইনে দাড়িয়ে থেকে, হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েও, ভর্তি না হয়ে গরমের কারনে অনেকে চলে গেছে বাড়িতে।
বিপি/কেজে