বাংলাপ্রেস ডেস্ক : হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর আন্ডারপাস নির্মাণসহ ১৬ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি একনেক। এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪ হাজার ৩৬২ কোটি ১৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিলের ১২ হাজার ৮৭৩ কোটি ১১ লাখ টাকা। বৈদেশিক ঋণ ১১ হাজার ৪৭২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থার তহবিল থেকে ১৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলানগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনাসচিব সত্যজিত কর্মকার, তথ্য ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন, ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) ইমদাদউল্লা মিয়ান এবং আইএমইডির সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন। আরো উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য আব্দুল বাকী, এ কে এম ফজলুল হক।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, বিমানবন্দর থেকে হাজীক্যাম্প বা রেল স্টেশনে সহজে এবং নিরাপদে যাতায়াতের জন্য আন্ডারপাস তৈরি করা হবে। এতে সড়ক দুর্ঘটনা যেমন কমবে, তেমনি রাস্তায়ও যানজট কমবে বলে আশা করছি। তিনি বলেন, এই আন্ডারপাস দিয়ে জনসাধারণ মেট্রো রেল স্টেশন, বিআরটি স্টেশন, বিমানবন্দর টার্মিনাল ১, ২, ৩-এ যাতায়াত করতে পারবে। বিমানবন্দর এলাকায় পথচারী আন্ডারপাস প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে এক হাজার ১৮৩ কোটি টাকা।
আগামী জুলাই মাস থেকে শুরু হয়ে ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন ব্রিগেড। এক হাজার ৭০ মিটার এই পথচারী আন্ডারপাস নির্মাণ করা হবে।
অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো- বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘সৌর বিদ্যুৎ চালিত পাম্পের মাধ্যমে কৃষি সেচ প্রকল্প; অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিসিএস (কর) একাডেমির ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন (১ম পর্যায়)’ প্রকল্প; পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘জার্মানির বার্লিনে বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্প; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রকল্প যথাক্রমে ‘সুনামগঞ্জ-মদনপুর, দিরাই-শাল্লা জলসুখা-আজমিরীগঞ্জ হবিগঞ্জ মহাড়কের শাল্লা-জলসুখা সড়কাংশ নির্মাণ ও ‘হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পথচারী আন্ডারপাস’ প্রকল্প।
এ ছাড়া রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের ঈশ্বরদী-পার্বতীপুর সেকশনের স্টেশনসমূহের সিগন্যালিং ও ইন্টারলকিং ব্যবস্থার প্রতিস্থাপন ও আধুনিকীকরণ’ প্রকল্প; যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ‘Economic Acceleration and Resilience for NEET (EARN)’ প্রকল্প; প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ‘খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ’ প্রকল্প; দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ‘গ্রামীণ মাটির রাস্তাসমূহ টেকসইকরণের লক্ষ্যে হেরিং বোন বন্ড (এইচবিবি) করণ’ প্রকল্প।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সাতটি প্রকল্প হলো যথাক্রমে ‘তৃতীয় নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নতিকরণ (সেক্টর)’ প্রকল্প, ‘Improving Urban Governance and Infrastructure (IUGIP)’ প্রকল্প; ‘রুরাল কানেকটিভিটি ইম্প্রুভমেন্ট প্রজেক্ট (আরসিআইপি)’ প্রকল্প; ‘চট্টগ্রাম বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়ক প্রশস্তকরণ ও শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্প; ‘গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পাঁচপীর বাজার-চিলমারী উপজেলা সদর দপ্তরের সাথে সংযোগকারী সড়কে তিস্তা নদীর ওপর ১৪৯০ মি. দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ’ প্রকল্প; ‘রাজশাহী বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়ক প্রশস্তকরণ ও শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্প এবং ‘নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর জেলার গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প।
বিপি/ এফআই