বাংলাপ্রেস ডেস্ক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, খালেদা জিয়া আদালতের রায়ে শাস্তি ভোগ করছেন। সরকার তাকে আটকে রাখেনি। বরং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদারতা ও নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়া বাসায় থাকার সুযোগ পেয়েছেন। শেখ হাসিনার এ বদান্যতার প্রতি তাদের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত ছিল।
শনিবার মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিই দেশের মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করেছে। প্রকাশ্যে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে গণতন্ত্র এবং ভোটাধিকার হরণে বিএনপি রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। যারা দেশকে ভঙ্গুর এবং পরনির্ভরশীল করে রেখে গিয়েছিল, তারাই আজ দেশের অর্থনৈতিক অর্জন নিয়ে সমালোচনা করছে, প্রতিনিয়ত মিথ্যাচারের ফানুস ওড়াচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা এ দেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনিই দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী কাঠামোর ওপর দাঁড় করিয়েছেন। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি। দেশের এ অর্জন-সমৃদ্ধি বিএনপি কখনো মেনে নিতে পারে না। বিএনপির রাজনীতি পরশ্রীকাতরতা এবং দ্বিচারিতায় পূর্ণ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জিয়া পরিবারের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের গল্প এ দেশের মানুষ জানে। বিএনপি শাসনামলে তারেক রহমানের দুর্নীতি ও অর্থপাচার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছিল। সেই সময়ের ভাঙা স্যুটকেসের গল্প দেশের মানুষ ভুলে যায়নি। সেই ভাঙা স্যুটকেস থেকে বিলাসবহুল জাহাজ বেরিয়ে আসতেও দেখেছে জনগণ।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আত্মদহনে দগ্ধ হয়ে ভুল রাজনীতির খেসারত দিচ্ছে। স্বাধীন দেশের রাজনৈতিক দল হয়েও তারা পরাধীনতায় বিশ্বসী। পাকিস্তানি ভূত তাদের মাথা থেকে যায়নি। বিএনপি জনগণের কাছে না গিয়ে বিদেশি দূতাবাসে ধরনা দিচ্ছে। ষড়যন্ত্রের মাধ্যমেই যাদের জন্ম ও বেড়ে ওঠা, তারা সেই বৃত্ত থেকে বের হতে পারবে না। কিন্তু আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য রাজনীতি করে। জনগণের পাশে আছে, জনগণের পাশেই থাকবে।
বিপি/কেজে